মাংস কিনতে বের হন মা-ছেলে, পথেই গেলো ছেলের প্রাণ-হাসপাতালে মা

শুক্রবার সকাল, বন্ধের দিন হলেও সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম নয়। কেউ বাজার করতে বের হয়েছেন, কেউ হাঁটতে, কেউবা আবার জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন। পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলি এলাকার ২০ কেপি ঘোষ স্ট্রিটের ঘিঞ্জি রাস্তায় মায়ের সঙ্গে মাংস কিনতে বের হন রাফিউল ইসলাম। তারা যেভাবে প্রতিদিন বাজার করতেন, আজও তেমনই হাঁটছিলেন। মাংসের দোকানটি ছিল সাত তলা এক ভবনের নিচে। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট তখন, হঠাৎ ভূমিকম্প অনুভূত হলো। মুহূর্তেই আশপাশের সব কিছু কেঁপে উঠলো। ঠিক সেসময় পাশের ভবনের ছাদের রেলিং (নিরাপত্তা দেওয়াল) ধসে পড়ে নিচে। রাফিউল, তার মা এবং আরও কয়েকজনের ওপর ধসে পড়ে রেলিং। এতে মেডিকেল শিক্ষার্থী রাফিউল ও তার মা গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক রাফিউলকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মা মস্তিষ্কে আঘাত পেয়ে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন। রাফিউলের ক্যাম্পাসের সিনিয়র স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল কাফি মর্গের সামনে এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দেন। আরও পড়ুনভূমিকম্পে বংশালে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলে

মাংস কিনতে বের হন মা-ছেলে, পথেই গেলো ছেলের প্রাণ-হাসপাতালে মা

শুক্রবার সকাল, বন্ধের দিন হলেও সড়কে মানুষের উপস্থিতি কম নয়। কেউ বাজার করতে বের হয়েছেন, কেউ হাঁটতে, কেউবা আবার জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছেন। পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলি এলাকার ২০ কেপি ঘোষ স্ট্রিটের ঘিঞ্জি রাস্তায় মায়ের সঙ্গে মাংস কিনতে বের হন রাফিউল ইসলাম। তারা যেভাবে প্রতিদিন বাজার করতেন, আজও তেমনই হাঁটছিলেন। মাংসের দোকানটি ছিল সাত তলা এক ভবনের নিচে।

সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট তখন, হঠাৎ ভূমিকম্প অনুভূত হলো। মুহূর্তেই আশপাশের সব কিছু কেঁপে উঠলো। ঠিক সেসময় পাশের ভবনের ছাদের রেলিং (নিরাপত্তা দেওয়াল) ধসে পড়ে নিচে। রাফিউল, তার মা এবং আরও কয়েকজনের ওপর ধসে পড়ে রেলিং। এতে মেডিকেল শিক্ষার্থী রাফিউল ও তার মা গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হন।

আহতদের উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক রাফিউলকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মা মস্তিষ্কে আঘাত পেয়ে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনায় আরও দুইজন নিহত হয়েছেন।

রাফিউলের ক্যাম্পাসের সিনিয়র স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল কাফি মর্গের সামনে এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দেন।

আরও পড়ুন
ভূমিকম্পে বংশালে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে 
‘যে কোনো সময় বাংলাদেশে আরও বড় ভূমিকম্প হতে পারে’ 

আব্দুল্লাহ আল কাফি বলেন, রাফিউল ইসলাম স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। মায়ের সঙ্গে পুরান ঢাকায় বসবাস করতেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি বগুড়ায়।

এদিন বিকেলে জাগো নিউজকে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বংশালের কসাইটুলিতে ভূমিকম্পে ভবনের রেলিং ধসে তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম, হাজী আব্দুর রহিম (৪৭) ও মেহরাব হোসেন রিমন (১২)।

নিহত রাফির মা নুসরাতের সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার চলছে অপরাশেন থিয়েটারে। তিনি জানেন না, তার ছেলে আর কোনোদিন চোখ মেলে পৃথিবীর আলো দেখবে না।

এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ সারাদেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্র ছিল ৫.৭। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর মাধবদীতে।

এমডিএএ/কেএসআর

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow