মাকে খুশি করতে হেলিকপ্টারে ঘুরালেন ছেলে
মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর ত্যাগের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়, তবে তার মুখে একটুখানি হাসি ফোটাতে সন্তানের চেষ্টার কোনো কমতি থাকে না। ঠিক তেমনই এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান মিয়া খোকন। মায়ের লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে পুরো এলাকা হেলিকপ্টারে ঘুরিয়ে দেখালেন এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটেছে। বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বরের ওয়ার্ডের চরঘারমোড়া এলাকার মৃত সালামতউল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ হাসান মিয়া খোকন তার মায়ের শখ পূরণ করতে এ আয়োজন করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) হামিদা খাতুনের (৬০) জন্মদিন ছিল। এ দিবসকে সামনে রেখে এই জাঁকজমপূর্ণ আয়োজন করা হয়। এদিন চরঘারমোড়া এলাকার বাগানবাড়ি হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করে নারায়ণগঞ্জ ঘুরে আবার সেখানেই অবতরণ করা হয়। মোহাম্মদ হাসান মিয়া খোকন একজন প্রবাসী। সিঙ্গাপুরে তার ব্যবসা রয়েছে। ২০২৪ সালে দেশের বাইরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স করদাতা হিসেবে সিআইপি পদক লাভ করেছিলেন তিনি। মোহাম্মদ হাসান মিয়া খোকন বলেন, মাকে সম্মান জানিয়ে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য এই উদ্
মায়ের নিঃস্বার্থ ভালোবাসা আর ত্যাগের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়, তবে তার মুখে একটুখানি হাসি ফোটাতে সন্তানের চেষ্টার কোনো কমতি থাকে না। ঠিক তেমনই এক অনন্য নজির স্থাপন করলেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার প্রবাসী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ হাসান মিয়া খোকন। মায়ের লালিত স্বপ্ন পূরণ করতে পুরো এলাকা হেলিকপ্টারে ঘুরিয়ে দেখালেন এই রেমিট্যান্স যোদ্ধা।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায় এমনই ঘটনা ঘটেছে। বন্দরের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বরের ওয়ার্ডের চরঘারমোড়া এলাকার মৃত সালামতউল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ হাসান মিয়া খোকন তার মায়ের শখ পূরণ করতে এ আয়োজন করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) হামিদা খাতুনের (৬০) জন্মদিন ছিল। এ দিবসকে সামনে রেখে এই জাঁকজমপূর্ণ আয়োজন করা হয়।
এদিন চরঘারমোড়া এলাকার বাগানবাড়ি হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টার উড্ডয়ন করে নারায়ণগঞ্জ ঘুরে আবার সেখানেই অবতরণ করা হয়। মোহাম্মদ হাসান মিয়া খোকন একজন প্রবাসী। সিঙ্গাপুরে তার ব্যবসা রয়েছে। ২০২৪ সালে দেশের বাইরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স করদাতা হিসেবে সিআইপি পদক লাভ করেছিলেন তিনি।
মোহাম্মদ হাসান মিয়া খোকন বলেন, মাকে সম্মান জানিয়ে তার স্বপ্ন পূরণের জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমার বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পেছনে মায়ের অনেক অবদান রয়েছে। একই সঙ্গে মায়ের জন্মদিন। যদিও আমার মা এসব জন্মদিন পালনে অভ্যস্ত না।
তিনি আরও বলেন, মা আমাদের অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন। মাকে সম্মানিত করা উচিত। এটা করলে আমাকে অন্যরাও অনুকরণ করবে। তার জন্মদিনকে সামনে রেখে এই আয়োজন করা হয়েছে। মা এই এলাকা থেকেই বড় হয়েছেন। আর তার এই এলাকাটা ওপর থেকে ঘুরে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এতে আমার মা কী পরিমাণ খুশি হয়েছেন সেটা বলে বুঝাতে পারবো না। পাশাপাশি আমার পরিবারের সদস্যরাও হেলিকপ্টারে ঘুরেছেন।
চরঘারমোড়া মসজিদ ও পঞ্চায়েত কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী বলেন, মোহাম্মদ হাসান মিয়া খোকন তার মাকে অনেক সম্মান করেন। মাকে খুশী করার জন্য তিনি এই উদ্যোগ নেন। তার এই প্রচেষ্টা অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
মোবাশ্বির শ্রাবণ/এমএন/এমএস
What's Your Reaction?