যশোরে মাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে পালক ছেলে শেখ শামসকে (২২) আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২৪ মে) শহরের মণিহারের ফলপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম খালেদা খানম রুমির (৫৫)। খালেদা এ এলাকার মৃত শেখ শাহজাহানের মেয়ে। মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, মনিহারের ফলপট্টির শামস্ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় খালেদা খানম বসবাস করেন। তার কোনো সন্তান না থাকায় তিনমাস বয়স থেকে শামসকে দত্তক নিয়ে লালনপালন করেন।
শনিবার সকাল থেকে ফলপট্টির দোকানদাররা পানি না পাওয়াতে খালেদাকে ডাকাডাকি করেন। ঘর থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে চলে যান। পরে আবার দুপুরে আবার ডাকাডাকি করেন। ভিতর থেকে কেউ দরজা না খোলায় দোকানদাররা ৯৯৯ কল দেন। পরে স্থানীয় ফাঁড়ির সদস্যরা এসে ডাকাডাকি করলে শামস্ দরজা খোলে। এসময় পুলিশ ও দোকানদাররা খালেদার খোঁজ নিলে বাড়িতে নাই বলে জানিয়ে দেয়।
পরে পুলিশের সন্দেহ হলে খালেদার কক্ষের দরজার কাছে গেলে দরজা খুলতে নিষেধ করেন। এক পর্যায়ে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে শুক্রবার রাত ১টার দিকে খালেদাকে লাঠি দিয়ে পিটিতে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। খালেদার কক্ষে মরদেহ রয়েছে বলেও শামস্ পুলিশকেও জানান। পরে খালেদার স্বজনের উপস্থিতিতে তার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে ছেলেটি মাদকাসক্ত। কী কারণে এ হত্যা করেছে সেটা তদন্ত চলছে। ছেলেটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে।
মিলন রহমান/আরএইচ/জেআইএম