মাত্র একটি কাগজেই সমাধান হবে জমির ৫ সমস্যা

ভূমি মালিকদের জন্য স্বস্তির খবর দিয়েছে সরকার। এখন থেকে জমি সংক্রান্ত একাধিক জটিল সমস্যার সমাধানে আর আলাদা করে আদালতে মামলা করতে হবে না। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন অনুযায়ী, মাত্র একটি আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলেই জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের মাধ্যমে জমির পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো ভূমি মালিকের কাছে যদি মালিকানা প্রমাণের জন্য অন্তত একটি বৈধ দলিল থাকে যেমন: রেজিস্ট্রি দলিল, খতিয়ান, বাটোয়ারা দলিল বা খাজনার রসিদ তাহলে তিনি সরাসরি ডিসি অফিসে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন যাচাইয়ের পর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ব্যবস্থার আওতায় প্রথমত, জোরপূর্বক জমি দখলের ঘটনায় আদালতে না গিয়েই প্রতিকার চাওয়া যাবে। অভিযোগ পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরেজমিন তদন্ত করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমির দখল ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন। দ্বিতীয়ত, ওয়ারিশি সম্পত্তিতে অনিয়ম বা বাটোয়ারা ছাড়া জমি দখলের অভিযোগ ডিসি অফিসে জানানো যাবে। প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে তদন্ত করা হবে। তৃতীয়ত, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ভুলক্

মাত্র একটি কাগজেই সমাধান হবে জমির ৫ সমস্যা

ভূমি মালিকদের জন্য স্বস্তির খবর দিয়েছে সরকার। এখন থেকে জমি সংক্রান্ত একাধিক জটিল সমস্যার সমাধানে আর আলাদা করে আদালতে মামলা করতে হবে না। ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন অনুযায়ী, মাত্র একটি আবেদন ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকলেই জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের মাধ্যমে জমির পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে।

সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, কোনো ভূমি মালিকের কাছে যদি মালিকানা প্রমাণের জন্য অন্তত একটি বৈধ দলিল থাকে যেমন: রেজিস্ট্রি দলিল, খতিয়ান, বাটোয়ারা দলিল বা খাজনার রসিদ তাহলে তিনি সরাসরি ডিসি অফিসে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন যাচাইয়ের পর জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তদন্ত ও প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই ব্যবস্থার আওতায় প্রথমত, জোরপূর্বক জমি দখলের ঘটনায় আদালতে না গিয়েই প্রতিকার চাওয়া যাবে। অভিযোগ পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরেজমিন তদন্ত করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমির দখল ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেবেন।

দ্বিতীয়ত, ওয়ারিশি সম্পত্তিতে অনিয়ম বা বাটোয়ারা ছাড়া জমি দখলের অভিযোগ ডিসি অফিসে জানানো যাবে। প্রয়োজনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে তদন্ত করা হবে।

তৃতীয়ত, ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ভুলক্রমে সরকারি খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেলে তা সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। সার্ভেয়ারের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট খতিয়ানের ভুল সংশোধন করা হবে।

চতুর্থত, জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হলে এবং বিকল্প পথ না থাকলে জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সেই রাস্তা পুনরায় চালু করার ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

পঞ্চমত, অনুমতি ছাড়া খাল খনন বা জমি ভরাট করে অন্যের জমির ক্ষতি করা হলে তার বিরুদ্ধেও ডিসি অফিসে অভিযোগ করা যাবে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডিসি অফিসে আবেদন করতে হলে একটি লিখিত আবেদন জমা দিতে হবে। আবেদনের সঙ্গে জমির সংশ্লিষ্ট দলিল, খতিয়ান, খাজনার রসিদ বা বাটোয়ারা দলিলের কপি সংযুক্ত করতে হবে। প্রাথমিক যাচাই শেষে জেলা প্রশাসন প্রয়োজন অনুযায়ী তদন্ত ও শুনানির আয়োজন করবে।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আইন থাকলেও বাস্তবে সব জেলায় এই সেবার কার্যকারিতা একরকম নয়। অনেক জায়গায় এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে, কিন্তু জনবল ও অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা এখনো বড় বাধা হয়ে আছে।

জমির মালিকানা প্রমাণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও সতর্কতা
ভূমি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জমি সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যায় প্রথমে অভিজ্ঞ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। পাশাপাশি নিজের জমির সব বৈধ কাগজপত্র গুছিয়ে রেখে নির্ধারিত নিয়মে ডিসি অফিসে আবেদন করলে দ্রুত সমাধান পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow