জাবি আলোনসো দায়িত্ব ছাড়ার পরপরই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কোচ এরিক টেন হাগকে নিয়োগ দেয় জার্মান ক্লাব বায়ার লেভারকুসেন। দুই বছরের জন্য সাবেক জার্মান চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন এই ডাচ কোচ; কিন্তু দুই বছর দূরে থাক, মাত্র তিন ম্যাচ ডাগ আউটে দাঁড়ানোর পরই লেভারকুসেন বরখাস্ত করলো টেনর হাগকে।
জার্মান কাপের প্রথম রাউন্ডে চতুর্থ ডিভিশনের দল সোনেনহফের বিপক্ষে বড় জয় দিয়ে শুরু করলেও বুন্দেসলিগায় মৌসুমের প্রথম ম্যাচে নিজেদের মাঠে হফেনহাইমের কাছে হেরে যায় লেভারকুসেন। এরপর ওয়েডার ব্রেমেনের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করে। এরপর থেকেই টেন হাগের সময়টা তিক্ত হয়ে ওঠে।
ক্লাবের শেয়ারহোল্ডার কমিটি এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সুপারিশেই তাকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
লেভারকুজেনের জন্য এ গ্রীষ্ম ছিল অস্থিরতায় ভরা। ২০২৪ সালে বুন্দেসলিগা শিরোপাজয়ী দলটির বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ক্লাব ছেড়ে চলে যান। এদের মধ্যে জেরেমি ফ্রিমপং, ফ্লোরিয়ান ভির্ৎজ, আমিন আদলি, ওডিলন কোসুনু, গ্রানিত শাকা, লুকাস হ্রাদেকি ও জোনাথন তাহ।
এতগুলো খেলোয়াড় চলে যাওয়ার প্রতিক্রিয়া হিসেবে লেভারকুসেন এবার প্রায় ১৭০ মিলিয়ন ইউরো ব্যয় করে নতুন দল গঠন করে। মালিক টিলম্যান, জ্যারেল কোয়ানসাহ, এলিয়েসে বেন সেগির, লোয়িক বাদে, ইব্রাহিম মাজা, মার্ক ফ্লেকেন ও আর্নেস্ট পোকু ছিলেন তাদের নতুন মুখ। এই দলটিকেই সঠিকভাবে সামলাতে শুরু থেকে ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন টেন হাগ।
লেভারকুসেনের স্পোর্টস ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিমন রলফেস বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য সহজ ছিল না। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহে দেখা গেছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন দল গড়ে সাফল্য আনা সম্ভব নয়। আমরা আমাদের দলের মানের ওপর আস্থা রাখি এবং নতুন কোচের মাধ্যমে উন্নয়নের পরবর্তী ধাপে পৌঁছাতে চাই।’
জাবি আলোনসোর অধীনে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেললেও টেন হাগের রক্ষণাত্মক কৌশল খেলোয়াড়দের সঙ্গে মানিয়ে নেয়নি। শনিবার ব্রেমেনের বিপক্ষে ম্যাচের পরেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। দুই গোলের লিড হাতছাড়া করার পর অধিনায়ক রবার্ট অ্যান্ডরিখ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রত্যেকে শুধু নিজের জন্য খেলেছে। দল হিসেবে আমরা একেবারেই একত্রিত ছিলাম না।’
লেভারকুজেনের সিইও ফার্নান্দো ক্যারো বলেন, ‘মৌসুমের এত তাড়াতাড়ি কোচ পরিবর্তন কষ্টদায়ক, তবে আমরা মনে করি এটি প্রয়োজনীয় ছিল। আমরা মৌসুমের লক্ষ্যে অটল এবং সেটা পূরণের জন্য এখন সর্বোত্তম পরিবেশ নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য।’
আইএইচএস/