শুরু হয়েছে অমর একুশে বইমেলা। প্রতিবছরের মতো এবারও মেলায় অংশ নিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। এ বছর মাত্র চারটি নতুন বই নিয়ে অংশ নেবে বিশ্ববিদ্যালয়।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, এ বছর নতুন বইয়ের সংখ্যা চারটি। গত বছর ছিল তিনটি। এ ছাড়া প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে আরও কয়েকটি বই।
বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সাল থেকে প্রকাশনার কাজ শুরু করে এবং ২০১৮ থেকে বই মেলায় ধারাবাহিকভাবে স্টল দিয়ে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে প্রকাশনা শুরুর পর থেকে প্রতি বছরই বইমেলায় স্টল বসলেও বছরের বেশিরভাগ সময়ই বন্ধ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশনা সেল। বই প্রকাশের ক্ষেত্রেও রয়েছে ধীরগতি। গত বছর নতুন প্রকাশিত কোনো বই ছাড়াই মেলায় স্টল বসলেও এবারে নতুন চারটি বই নিয়ে স্টল বসছে। প্রকাশনা শুরুর পর ৮ বছর পার হলেও এ যাবৎকালে প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা মাত্র ২৭টি। এ বছরে চারটি বই বেড়ে মোট বইয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩১টি। তবে বিগত সময়ে প্রকাশিত সাতটি বই বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ এবং জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাণ্ডুলিপি মুদ্রণ কমিটির আহ্বায়ক ড. মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম বলেন, বিগত সময়ে প্রকাশিত স্বৈরাচার হাসিনা ও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কিত সাতটি বই বাদ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর প্রকাশিত বই প্রদর্শনের জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টলে রাখতে পারবেন। তবে বইয়ে জুলাই-২৪ এর স্পিরিট পরিপন্থি কোনো কনটেন্ট থাকতে পারবে না। বই প্রকাশে আগ্রহীরা বইয়ের কপি জনসংযোগ অফিসে জমা দিতে পারবেন।
নতুন বই কম প্রকাশের কারণ জানিয়ে তিনি বলেন, এবারের মেলায় প্রকাশিত বইগুলো গবেষণাধর্মী। গবেষণার গুণগত মান যাচাই-বাছাইয়ের পরই নির্বাচিত হয়েছে এ বইগুলো। গবেষণাধর্মী বইগুলো একটি ব্লাইন্ড সিলেকশনে যাচাই করা হয়। যেখানে লেখকের নাম-পরিচয় গোপন রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে যদি একজনও নেতিবাচক রিভিউ করে তাহলে সেটা প্রকাশ করা হয় না। তবে যদি তিনি কিছু ভুলভ্রান্তি সংশোধন করে প্রকাশের পরামর্শ দেন, সেগুলো লেখককে পুনরায় সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়। বইয়ের গুণগত মান বজায় রেখে গবেষণাধর্মী বই প্রকাশ করা দীর্ঘসময়ের ব্যাপার।