পাওনা টাকা চাওয়ায় মাথায় আঘাতের ৩৫ দিন পর ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার হোসেন (৩১) সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ওই ইউনিয়নের গোয়ালচাতর গ্রামের আবদুল হামিদ সরদারের ছেলে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নের গোয়ালচাতর গ্রামের নিজ বাড়িতে তুরান মারা যান।
নিহত তুরানের চাচা আবদুর রশিদ সরদার বলেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাত আটটার দিকে আমার ভাতিজা কাজীরহাট বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলামের দোকানে পাওনা টাকা চাইতে যায়। এ সময় মনিরুল টাকা দেবেন না বলে টালবাহানা শুরু করলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে লোকজন এসে তাদের থামিয়ে দেন। কিন্তু এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর তুরানের দোকানের সামনে গিয়ে তার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করেন মাংস ব্যবসায়ী মনিরুল। এতে তুরান গুরুতর জখম হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। পরে বাজারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।
তিনি বলেন, মাথায় আঘাত পাওয়ার ফলে তুরান ২৪ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টার দিকে স্ট্রোক করে। তাকে চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে উন্নতি না হওয়ায় খুলনা সিটি হাসপাতালে ভর্তি করে মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। সেখান থেকে বাড়ি আসার পর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পুলিশ মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছে।
মাংস ব্যবসায়ী মনিরুলের ব্যবসায়ী অংশীদার মফিজুল ইসলাম ও কাজীরহাট বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আসানুর রহমান বলেন, মনিরুলের কাছে পাওনা ২০ হাজার টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে মনিরুল গিয়ে তুরানের মাথায় আঘাত করেন। তুরান স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে তারা জানতে পেরেছি।
মনিরুল উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের কাউরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। আত্মগোপনে চলে যাওয়ায় মনিরুল বা তার বাবা কারও সঙ্গে কথা বলা যায়নি।
কলারোয়া থানার ওসি সামসুল আরেফিন জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।