হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন মাথায় গুলিবিদ্ধ আব্দুল্লাহ (২৩)। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। ছেলের এমন অবস্থায় দিশেহারা পরিবার। দরিদ্র হওয়ায় ছেলের চিকিৎসা করানোর সামর্থ্যও নেই অসহায় বাবার। ছেলের চিকিৎসায় বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
মেধাবী ছাত্র আব্দুল্লাহ যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড়আঁচড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল জব্বাবের ছেলে। তিনি ঢাকায় বোনের বাসায় থেকে লেখাপড়া করেন। ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আব্দুল্লাহ।
গত ৫ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিজয় মিছিলে বংশাল থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল্লাহ। গুলিটি তার কপালে লাগে। তাৎক্ষণিক তার বন্ধুরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। অস্ত্রপচার করে তার মাথা থেকে গুলি বের করা হয়। তবে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকলেও তাকে হাসপাতাল থেকে ১০ আগস্ট জোরপূর্বক ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
এরপর তাকে বেনাপোলে নিয়ে আসেন স্বজনরা। বাড়িতে তার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে ১১ আগস্ট রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় ডাক্তাররা দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরদিন সকাল ৭টায় তাকে ভর্তি করা হয়। বতর্মানে আব্দুল্লাহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইমারজেন্সি ৫০৩ ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
আব্দুল্লাহর বাবা আব্দুল জব্বার মুঠোফোনে জাগো নিউজকে জানান, ছেলের অবস্থা আগের চেয়ে একটু ভালো। তবে কোনো কথা বলতে পারছে না। হাসপাতালের ডাক্তাররা সেসময় জোর করে ছাড়পত্র না দিলে আমার ছেলে ভালো হয়ে যেত। ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা আমার ছেলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে। প্রতিদিন এসে খোঁজ খবর নিচ্ছে।
জামাল হোসেন/এফএ/এএসএম