মাদকাসক্ত এক যুবক রাসেল মিয়া (৩০)। বাবা আছির উদ্দিন সাবেক ইউপি মেম্বার। বেশ কয়েক বছর আগে তিনি মারা গেছেন। তবে রাসেল মিয়ার মা এখনো বেঁচে আছেন।
তিন ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় রাসেল মিয়া। বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। ছোট ভাই হোটেল শ্রমিক। অভাবের সংসার। সামাজিক পারিপার্শ্বকতার কারণে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন রাসেল। একই কারণে বিয়েটাও করা হয়নি তার।
নেশার টাকা জোগাড় করতে চুরিই একমাত্র ভরসা। চুরির অপরাধে প্রায়ই তাকে জেলে থাকতে হয়েছে। তবে জেল থেকে বের হয়ে আবারও মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন রাসেল মিয়া। এভাবেই চলে তার জীবন। কিন্তু আর কত! নেশার টাকা জোগাড় করার একমাত্র ভরসা চুরিতেও পড়েছে ভাটা। এ অবস্থায় নেশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে আবারও কারাবন্দি জীবন বেছে নিতে রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে স্বেচ্ছায় থানায় হাজির হন রাসেল মিয়া।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াদুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘নেশাগ্রস্ত ওই যুবক স্বেচ্ছায় থানায় এসে বলেন, চুরি মামলায় আমাকে জেলে পাঠিয়ে দেন। টাকার অভাবে নেশা করতে পারছেন না। তাই জেলে যাওয়ার জন্য জোরাজুরি শুরু করেন। পরে বুঝিয়ে তাকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।’
রাসেল মিয়া বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের রহিমাবাদ উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
এসআর/জেআইএম