মাদারীপুরের ৩ যুবকের নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে ২০ লাখ টাকা দাবি
স্বপ্নের দেশ ইতালি যাওয়ার পথে মাদারীপুরের শিবচরের তিন যুবক প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারগুলো দালালদের কাছে দফায় দফায় ৪০ লাখ টাকা দেওয়ার পরও সন্তানদের কোনো খোঁজ পাচ্ছে না। উল্টো দালালরা তাদের নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে আরও ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। নিখোঁজ তিন যুবক হলেন, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দির নাওরা চর শেখপুর গ্রামের আলাউদ্দিন খানের ছেলে আলমাস খান (২৫), চুন্নু তপাদারের ছেলে সবুজ তপাদার (২৫) ও নূর ইসলাম ফরাজীর ছেলে সজীব ফরাজী (৩৩)। স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর দুই মাস আগে এই তিন যুবকসহ মোট ৬ জন স্থানীয় দালাল নূর আলম ও সেলিমের মাধ্যমে ইতালির উদ্দেশে লিবিয়া যান। ছয়জনের মধ্যে তিন যুবক ইতালি পৌঁছালেও বাকি তিনজন—আলমাস, সবুজ ও সজীব ইতালি যেতে পারেননি। নিখোঁজদের পরিবারগুলো কয়েক দফায় দালালদের কাছে ৪০ লাখ টাকা প্রদান করে। এরপরও তাদের ইতালি না নিয়ে দালালরা তাদের লিবিয়ার মাফিয়া চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গত এক মাস ধরে এই তিন যুবকের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই। এর মধ্যে পরিবারের ফোনে তাদের বেঁধে মারধর করার এ
স্বপ্নের দেশ ইতালি যাওয়ার পথে মাদারীপুরের শিবচরের তিন যুবক প্রায় এক মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারগুলো দালালদের কাছে দফায় দফায় ৪০ লাখ টাকা দেওয়ার পরও সন্তানদের কোনো খোঁজ পাচ্ছে না। উল্টো দালালরা তাদের নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে আরও ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।
নিখোঁজ তিন যুবক হলেন, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দির নাওরা চর শেখপুর গ্রামের আলাউদ্দিন খানের ছেলে আলমাস খান (২৫), চুন্নু তপাদারের ছেলে সবুজ তপাদার (২৫) ও নূর ইসলাম ফরাজীর ছেলে সজীব ফরাজী (৩৩)।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় এক বছর দুই মাস আগে এই তিন যুবকসহ মোট ৬ জন স্থানীয় দালাল নূর আলম ও সেলিমের মাধ্যমে ইতালির উদ্দেশে লিবিয়া যান। ছয়জনের মধ্যে তিন যুবক ইতালি পৌঁছালেও বাকি তিনজন—আলমাস, সবুজ ও সজীব ইতালি যেতে পারেননি।
নিখোঁজদের পরিবারগুলো কয়েক দফায় দালালদের কাছে ৪০ লাখ টাকা প্রদান করে। এরপরও তাদের ইতালি না নিয়ে দালালরা তাদের লিবিয়ার মাফিয়া চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে। গত এক মাস ধরে এই তিন যুবকের সঙ্গে পরিবারের কোনো যোগাযোগ নেই। এর মধ্যে পরিবারের ফোনে তাদের বেঁধে মারধর করার একটি নির্যাতনের ভিডিও চিত্র পাঠানো হয় এবং আরো ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হলে দালাল নূর আলম ও সেলিম গা ঢাকা দেয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করলে দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
লিবিয়ায় নিখোঁজ আলমাস খানের বাবা আলাউদ্দিন খান বলেন, ১৭ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছিল। ধারদেনা করে জমি বিক্রি করে এ পর্যন্ত ৪০ লাখ টাকা দিয়েছি। এখন শুনি আমার ছেলেকে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। ছেলেকে মারধর করার ভিডিও পাঠিয়েছে। এখন আমরা কোথায় যাবো, আমার ছেলে কোন অবস্থায় আছে কিছুই জানি না।
নিখোঁজ আলমাসের মা চায়না বেগম বলেন, আমার ছেলেকে নির্যাতন করা হচ্ছে। তারপর আবার ২০ লাখ টাকা চাচ্ছে। এখন আমরা কী করবো।
সবুজ তপাদারের মা পারুল বেগম বলেন, আমার বড় একটা গরুর খামার ছিল। সব গরু বিক্রি করে দিয়েছি। এখন আবার ২০ লাখ টাকা চাইছে। এত টাকা কোথায় পাবো? আমার সব শেষ হয়ে গেছে।
সজীব ফরাজীর মা শেফালী বেগম জানান, নির্যাতনের ভিডিও পাঠানোর পর দালাল নূর আলম আর সেলিম গ্রাম থেকে পালিয়েছে। তিনি মামলা করেছেন এবং দালালের শাস্তি ও সন্তানের সুস্থ প্রত্যাবর্তন দাবি করেছেন।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, এই ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/কেএইচকে/এএসএম
What's Your Reaction?