মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে, পাওয়া গেল রহস্যজনক সরঞ্জাম
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় গতকাল (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার একতলা ভবনের পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষের দেয়াল উড়ে যায়। বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ মোট চারজন আহত হন। পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ককটেল, বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট উদ্ধারকৃত আলামতের একটি তালিকা দিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে গোলাকার কথিত বোমা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাইপ বোমা, শর্টগানের সীসা গুলি, সাদা রঙের পাউডার (বোমা তৈরির কাঁচামাল বলে ধারণা করা হচ্ছে), কেমিক্যাল কনটেইনার, বৈদ্যুতিক ড্রিল মেশিন, হাতুড়ি, টাকা গণনার মেশিন, একটি সিলভার রঙের ফিঙ্গার স্টেপ চাকু, হ্যান্ডকাপ, স্পাই ক্যামেরা, বিভিন্ন ধর্মীয় বই, প্লাস্টিকের পুরুষাঙ্গ, সে ক্স জেল, গ্লিসারিন, পুলিশের বেল্ট, ওয়্যারলেস সেটের চার্জার ও রিমোট কন্ট্রোল চাবির রিং। পরে উদ্ধার করা ককটেলগুলো দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ঝিলমিল এলাকার একটি ফাঁকা স্থানে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল দ্বারা ধ্বংস করা হয়। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থ
ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকায় গতকাল (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একটি মাদ্রাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে উম্মাল কুরা ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসার একতলা ভবনের পশ্চিম পাশের দুটি কক্ষের দেয়াল উড়ে যায়। বিস্ফোরণে নারী ও শিশুসহ মোট চারজন আহত হন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে ককটেল, বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট উদ্ধারকৃত আলামতের একটি তালিকা দিয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে গোলাকার কথিত বোমা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন পাইপ বোমা, শর্টগানের সীসা গুলি, সাদা রঙের পাউডার (বোমা তৈরির কাঁচামাল বলে ধারণা করা হচ্ছে), কেমিক্যাল কনটেইনার, বৈদ্যুতিক ড্রিল মেশিন, হাতুড়ি, টাকা গণনার মেশিন, একটি সিলভার রঙের ফিঙ্গার স্টেপ চাকু, হ্যান্ডকাপ, স্পাই ক্যামেরা, বিভিন্ন ধর্মীয় বই, প্লাস্টিকের পুরুষাঙ্গ, সে ক্স জেল, গ্লিসারিন, পুলিশের বেল্ট, ওয়্যারলেস সেটের চার্জার ও রিমোট কন্ট্রোল চাবির রিং।
পরে উদ্ধার করা ককটেলগুলো দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ঝিলমিল এলাকার একটি ফাঁকা স্থানে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল দ্বারা ধ্বংস করা হয়।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম জানান, ঘটনাস্থলে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ও ক্রাইম সিন ইউনিট কাজ করছে এবং অভিযান এখনো চলমান। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জাকির হোসেন জানান, হঠাৎ বিকট শব্দের সঙ্গে একটি ইটের মতো বস্তু তার মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায় এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। পরে তাকে আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভবনের মালিক পারভিন বেগম বলেন, ২০২২ সালে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এরপর মুফতি হারুন নামের এক ব্যক্তি মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য ভবনটি ভাড়া নেন এবং প্রায় তিন বছর ধরে নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করে আসছিলেন। আলামিন ও তার স্ত্রী আছিয়া সেখানে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। মুফতি হারুন মাঝে মাঝে মাদ্রাসায় আসতেন।
বিস্ফোরণে মাদ্রাসার আসবাবপত্র ও জানালার কাচ ভেঙে যায় এবং দেয়ালের একটি অংশ ধসে পড়ে। চারপাশে কাচ ও দেয়ালের টুকরা ছড়িয়ে পড়ে। পাশের মোহাম্মদ হোসেনের মালিকানাধীন ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ঘটনায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন মাদ্রাসাশিক্ষক আলামিনের দুই ছেলে উমায়েদ (১০) ও আবদুল্লাহ (৮), মেয়ে রাবেয়া (৬) এবং পাশের একটি সিএনজি গ্যারেজের শ্রমিক জাকির হোসেন (৪৫)।
What's Your Reaction?