লিবিয়ার বেনগাজির গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৭৫ বাংলাদেশি। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে লিবিয়ার বুরাক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। এদের প্রায় সবাই মানবপাচারের শিকার হয়ে জীবন-মৃত্যুর সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশে ফিরেছেন।
ফেরত আসা যাত্রীদের মধ্যে রয়েছেন মানবপাচারে অভিযুক্ত শাখাওয়াত হোসেন। যিনি দীর্ঘদিন ধরে লিবিয়ায় অবস্থান করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আটকে রেখে নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তার হাতে একাধিক বাংলাদেশি নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
শাখাওয়াতের নির্যাতনের শিকার কয়েকজন ভুক্তভোগী গত কয়েক মাস আগে দেশে ফেরেন। ভুক্তভোগীদের তিনজন হলেন লিবিয়া ফেরত এনায়েত ভুইয়া, ইমরান হোসেনের বাবা কবির হোসেন ও আশিকুর রহমা সুমন।
তারা বৃহস্পতিবার সকালে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে তার বিচারের দাবি জানান। পাশাপাশি দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান। ভুক্তভোগীদের ভাষ্য, শাখাওয়াত লিবিয়ায় মাফিয়াচক্র গড়ে তুলে জিম্মি করে অর্থ আদায় করতো, আর যারা টাকা দিতে পারতেন না তাদের ওপর চালাতো অমানবিক নির্যাতন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে এনায়েত ভুইয়া অভিযুক্ত শাখাওয়াতের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জে মানবপাচার ট্রাইবুনালে একটি মামলা করেন। বাকি দুই ভুক্তভোগী কবির হোসেন ও আশিকুর রহমান সুমন শরীয়তপুর ও ঢাকার বিমানবন্দর থানায় শাখাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এনায়েত ভুইয়া জাগো নিউজকে বলেন, এই শাখাওয়াত আমাদের মেরে মৃত্যুশয্যাশায়ী করে ফেলছিল। প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফিরেছিলাম। সে আমার থেকে ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়েছে। দেশে এসে আজ আমি বেকার। কাজ করার সামর্থ্য নেই। আমরা সবাই মামলা করেছি, প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই যেন এয়ারপোর্ট থেকে তাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হয়।
আশিকুর রহমান সুমন জাগো নিউজকে বলেন, প্রায় ৩২ লাখ টাকা নিয়েছে মাফিয়া শাখাওয়াত। এত নির্যাতন করেছে, সেই দাগ এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি।
আরএএস/বিএ/এএসএম