পরিবহন শ্রমিকদের সম্মান ও মর্যাদা বাড়িয়ে তাদেরকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।
তিনি বলেন, চালক ও হেলপাররা প্রতিদিন অন্তত ১৮ কোটি মানুষকে নিরাপতে গন্তব্যে পৌঁছে দেন। তাই আমরা তাদের সম্মান মর্যাদা বাড়নোর উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের লক্ষ্য নারায়ণগঞ্জকে মডেল বানিয়ে সারাদেশে এ কর্মসূচি ছড়িয়ে দেওয়া।
বুধবার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে দিনব্যাপী জেলা পরিষদের ডাকবাংলো সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএর যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানে বাসচালক ও হেলপারদের প্রশিক্ষণ প্রদান, পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরি ও সম্মানজনক অবসরের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা তুলে ধরা হয়। প্রশিক্ষণে জেলার ৫৪ জন চালক অংশ নেন। পর্যায়ক্রমে জেলার সব বাস কোম্পানির চালক-হেলপারদের এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে বলে জানান আয়োজকরা।
পরিবহন খাতে জেলা প্রশাসকের এ যুগান্তকারী উদ্যোগের বিষয়ে সিটি বন্ধন পরিবহনের চালক আওলাদ হোসেন বলেন, আমার ২৫ বছরের ড্রাইভিং জীবনে এমন ভালো প্রশিক্ষণ পাইনি। এবার প্রথমবারের মতো আমরা পরিচয়পত্র ও নিয়োগপত্র হাতে পাচ্ছি। পেনশন সুবিধার কথাও ভাবা হচ্ছে, যা কখনো কল্পনা করিনি।
উৎসব পরিবহনের চালক নরুল ইসলাম বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার সময় গাড়ি চালাতে পারি কি না শুধু সেটাই দেখা হয়। কিন্তু আজ শিখলাম যাত্রীদের সঙ্গে আচরণ, কত ঘণ্টা গাড়ি চালানো উচিৎ এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বিআরটিএ প্রশিক্ষক মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, মানবিক দেশ গড়তে হলে মানবিক ড্রাইভার তৈরি করতে হবে। জননিরাপত্তার জন্য সড়কে শৃঙ্খলা অত্যন্ত জরুরি। জেলা প্রশাসকের এ উদ্যোগ নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বাস মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, নিয়োগপত্র হাতে পাওয়ার ফলে মালিকরা আর সহজে শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করতে পারবে না। এ ছাড়া শ্রমিকরা বছরে দুটি বোনাসও পাবে। আমরা চাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ড্রাইভারদের কাজের মূল্যায়ন ভিত্তিক পুরস্কার চালু হোক।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমান বলেন, ডিসি নিয়মিত দায়িত্বের বাইরে গিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করছেন।