ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে শরিফা ইয়াসমিন সৌমা নামের এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দুপুর দেড়টার দিকে ছাত্রী হোস্টেলের ৩১১ নম্বর কক্ষ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মারা যাওয়া শরিফা ইয়াসমিন খুলনার খালিশপুর গ্রামের তায়েদুর রহমানের মেয়ে। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, দুপুর দেড়টার দিকে কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের ৩১১ নম্বর কক্ষে শরীরে ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে আত্মহত্যা করেন সৌমা। এর আগে ৪-৫ পৃষ্ঠার একটি চিরকুট লেখেন। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ইনজেকশন ও সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
সফিকুল ইসলাম আরও জানান, সৌমা দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনা ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানসিক চাপে ভুগছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এ চাপ থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো তথ্য দিতে রাজি নন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাজমুল আলম খান।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না। বুধবার (১৩ আগস্ট) কলেজে এলে মৃত্যুর তথ্য জানানো হবে।’
তবে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম বলেন, ওই চিরকুটে সৌমা মানসিক চাপ ও নানা কষ্টের কথা লিখেছেন। তার পরিবার মরদেহ নিতে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।
কামরুজ্জামান মিন্টু/এসআর/এএসএম