মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় কারখানায় ডাকাতির ঘটনায় ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে জেলা গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ও সাটুরিয়া থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের থেকে লুণ্ঠিত মালামালসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাইজিং গ্রুপের পপুলার প্যাকেজ অ্যান্ড এক্সেসরিজ লিমিটেডের কারখানায় এ ডাকাতি সংঘটিত হয়।
পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ২০-২৫ জন মুখোশধারী ডাকাত নিরাপত্তা প্রাচীর টপকে ফ্যাক্টরির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা দেশীয় অস্ত্রের মুখে কারখানার কর্মচারীদের হাত-পা বেঁধে ডাইং পলিব্যাগ ও নগদ টাকা লুট করে। এ ঘটনায় পরে কারখানার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানায় অভিযোগ করেন।
ঘটনার পর মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুনের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সুজন সরকার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মানিকগঞ্জ সদর সার্কেল) সালাউদ্দিন রাব্বির সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে পাবনার চাটমোহর থেকে শরীফ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। তার থেকে লুণ্ঠিত দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত আরও ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, মো. লাল চান (৪১), মো. রাসেল ওরফে আলামিন (২৬), মো. মোকাদ্দেছ (৬১), হৃদয় হাসান (১৯), মো. কাউছার (২৬), মো. জাহাঙ্গীর আলী (২৫), জাহিদ হাসান (৩৫), মো. আবু সাইদ (৫০), স্বপন মিয়া (২০), সাজেদুল শেখ (৩৫) ও লিয়াকত আলী (৫৪)।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারদের থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দুটি পিকআপভ্যান, তিনটি দা, চারটি কাটার, চাপাতি, হ্যান্ড গ্লাভস, মুখোশ ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। পরে গ্রেফতারদের আদালতে উপস্থাপন করা হলে আসামি লিয়াকত আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মানোবেন্দ্র বালো বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। শিগগিরই আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছি।
মো. সজল আলী/এমএন/এএসএম