মানিকগঞ্জে শীতকালীন সবজির বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত চাষিরা

6 hours ago 4

শীতকালীন সবজির চারা উৎপাদন ও বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মানিকগঞ্জের চাষিরা। জেলার ৭টি উপজেলার মধ্যে সিংগাইর, সাটুরিয়া, ঘিওর ও সদর উপজেলায় ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, করলা, লাউ, মুলা, শসা, পটল, লালশাক, পালংশাকসহ বিভিন্ন সবজির বীজতলা তৈরি এবং পরিচর্যায় কৃষকেরা দিন-রাত কাজ করছেন। কম খরচে বেশি লাভের আশায় আগাম জাতের সবজি চাষে ঝুঁকছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত খরিপ-২ মৌসুমে জেলায় সবজির আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৬৭৬ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫২ হাজার ১৫৫ মেট্রিক টন। হেক্টরপ্রতি ফলন হয়েছিল ১ হাজার ৯৪৯ মেট্রিক টন। চলতি মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৪৯৬ হেক্টর। এরই মধ্যে জমিতে চারা উৎপাদন ও বীজতলা তৈরিতে কৃষকেরা সক্রিয় আছেন।

সরেজমিনে জানা যায়, সবজির চারা চাষে কৃষকেরা কাজের নানান পর্যায়ে নিযুক্ত আছেন। কেউ হালচাষ করছেন, কেউ সার বা কীটনাশক প্রয়োগ করছেন, কেউ পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণে মনোযোগ দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আরও পড়ুন

সাটুরিয়া উপজেলার পারতিল্লির সবজি চাষি আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ বছর তিনি ৮ বিঘা জমিতে ফুলকপি-বাঁধাকপিসহ নানা জাতের সবজি আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরই মধ্যে ১ বিঘা জমিতে ৮টি বেডের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করা হয়েছে। এখন বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে জমিতে রোপণের কাজ করছেন।

মানিকগঞ্জে শীতকালীন সবজির বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত চাষিরা

সবজি চাষি তোরাব আলী বলেন, ‘এ বছর ১ বিঘা জমিতে করলা, ১৫ শতাংশ জমিতে লাউ ও দেড় বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করবো। লাউ গাছের চারা রোপণ করা হয়ে গেছে। এখন করলার জন্য বীজতলা তৈরি করছি। অনেকেই একে মাদার তৈরি করাও বলেন। একটু আগাম চাষ করছি, কারণ সবজির বাজার শীতের শুরুতে একটু বেশি থাকে। তখন সবজি বিক্রি করতে পারলে লাভের মুখ দেখতে পারবো।’

মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. বরীআহ নূর আহমেদ বলেন, ‘আগাম উৎপাদন হলে বাজারে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ হবে। অপরদিকে কৃষকেরা লাভবান হবেন। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে এ ক্ষেত্রে সবজি চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’

এসইউ/এমএস

Read Entire Article