মান্না ও ইসলামী ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্বাক্ষর জাল করে ঋণ পুনঃতপশিল চেষ্টার ঘটনায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে।  বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচকে অবস্থিত আফাকু কোল্ড স্টোরেজের পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ভুয়া উপস্থিতি দেখিয়ে বোর্ড সভার রেজুলেশন তৈরি, স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা উপেক্ষা করে ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলের চেষ্টার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। আফাকু কোল্ড স্টোরেজের চেয়ারম্যান হচ্ছেন মাহমুদুর রহমান মান্না। গত ১১ ডিসেম্বর বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মিল্লাত হোসেন এ মামলাটি বগুড়ার অবকাশকালীন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব জানান, সিনিয়র স্পেশাল জজ শাহজাহান কবির মামলাটি আমলে নিয়ে নথিপত্র ও প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব

মান্না ও ইসলামী ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

স্বাক্ষর জাল করে ঋণ পুনঃতপশিল চেষ্টার ঘটনায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. এম জুবায়দুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। 

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচকে অবস্থিত আফাকু কোল্ড স্টোরেজের পলাতক ব্যবস্থাপনা পরিচালকের ভুয়া উপস্থিতি দেখিয়ে বোর্ড সভার রেজুলেশন তৈরি, স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা উপেক্ষা করে ৩৮ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলের চেষ্টার অভিযোগে এ মামলা করা হয়। আফাকু কোল্ড স্টোরেজের চেয়ারম্যান হচ্ছেন মাহমুদুর রহমান মান্না।

গত ১১ ডিসেম্বর বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মিল্লাত হোসেন এ মামলাটি বগুড়ার অবকাশকালীন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আবদুল ওহাব জানান, সিনিয়র স্পেশাল জজ শাহজাহান কবির মামলাটি আমলে নিয়ে নথিপত্র ও প্রাথমিক তথ্য পর্যালোচনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আফাকু কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওমর ফারুক খান, ইনচার্জ (সিআইডি-২) মাহমুদ হোসেন খান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সৈয়দ উল্লাহ, বগুড়া জোনাল ইনচার্জ সিকদার শাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক ও নীতি সহায়তা কমিটির সদস্য সচিব বায়োজিত সরকার।

মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, তার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তিনামা সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, আফাকু কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করে তা বিক্রির লক্ষ্যে একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী সাক্ষী চুক্তির দিন ১০ কোটি টাকা বুঝিয়ে দেন এবং অবশিষ্ট ১৫ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধের সময় পরিশোধ করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। সম্পত্তি হস্তান্তরের বিষয়েও সম্মতি প্রকাশ করেন।

তবে পরে দেখা যায়, সাক্ষী এবিএম নাজমুল কাদির শাহজাহান চৌধুরী ও তার স্ত্রী গোপনে ১৯ আগস্ট আমেরিকায় চলে যান। পলাতক অবস্থায় তাদের অনুপস্থিতিতে ৭ নম্বর আসামি তাদের স্বাক্ষর জাল করে ১ ডিসেম্বর বোর্ড সভার ভুয়া রেজুলেশন তৈরি করেন, যেখানে খেলাপি ঋণ পুনঃতপশিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আসামিরা এই জাল রেজুলেশনকে বৈধ রূপ দিয়ে তা বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকে দাখিল করে ঋণ পুনঃতপশিলের জন্য আবেদন করেন। পরে তারা যোগসাজশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা লঙ্ঘন করে, নিয়মবহির্ভূতভাবে মিথ্যা কাগজপত্রের মাধ্যমে ঋণ পুনঃতপশিলের অনুমোদন আদায়ের চেষ্টা করেন।

মামলায় আরও বলা হয়, ইসলামী ব্যাংক বগুড়া বড়গোলা শাখা থেকে খেলাপি ঋণ পরিশোধের জন্য ‘কল ব্যাক নোটিশ’ দেওয়ার পরও আসামিরা জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে পুনঃতপশিলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ইসলামী ব্যাংকের বগুড়া জোনাল হেড সিকদার শাহাবুদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়ে তিনি এখনো অবহিত নন। বিস্তারিত জানতে হেড অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।

এদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ের উপপরিচালক মাহফুজ ইকবাল কালবেলাকে জানান, আদালতের আদেশের কপি তারা পেয়েছেন এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow