মামলা ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে ট্রাস্টের টাকা উত্তোলন করে?

নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাকরিচ্যুত চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবিলম্বে পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগীরা। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর ) সকাল ৯ টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অংশ নেন। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ট্রাস্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছে। তাদের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের ফলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বহু চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অন্যায়। বক্তারা বলেন, ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও পলাতক তমাল মনসুর এবং তার মা মিসেস লায়লা আরজুমান বিদেশে অবস্থান করেই ডিজিটাল স্বাক্ষর ও অনলাইন সভার মাধ্যমে কলেজ ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছেন। এর ফলে শিক্ষা ও চিকিৎস

মামলা ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও কিভাবে ট্রাস্টের টাকা উত্তোলন করে?

নিয়ম বহির্ভূত ভাবে চাকরিচ্যুত চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অবিলম্বে পুনর্বহালের দাবিতে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগীরা। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর ) সকাল ৯ টা থেকে প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এই মানববন্ধনে কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অংশ নেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ট্রাস্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের দোসর একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছে। তাদের স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তের ফলে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বহু চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও অন্যায়।

বক্তারা বলেন, ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকা সত্ত্বেও পলাতক তমাল মনসুর এবং তার মা মিসেস লায়লা আরজুমান বিদেশে অবস্থান করেই ডিজিটাল স্বাক্ষর ও অনলাইন সভার মাধ্যমে কলেজ ও হাসপাতালের প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করছেন। এর ফলে শিক্ষা ও চিকিৎসাসেবার স্বাভাবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং প্রতিষ্ঠানটি ভয়াবহ অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে।

মানববন্ধনে আরও অভিযোগ করা হয়, গত দেড় বছর ধরে মিসেস লায়লা আরজুমান ও তার পরিবারের সদস্যরা বিদেশে পলাতক অবস্থায় থাকলেও ৫ আগস্টের পর থেকে জুম মিটিং ও ডিজিটাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও ট্রেজারার তমাল মনসুর কলেজের অধ্যক্ষ পরিচালকের যোগসাজশে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একাধিক শিক্ষক, চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে বরখাস্ত করের। একই সঙ্গে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলা হয়।

বক্তারা দাবি করেন, দুদক ও ফৌজদারি মামলা চলমান থাকা এবং ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. (কর্নেল, অবসরপ্রাপ্ত) মো. আব্দুল হামিদ যৌথ স্বাক্ষরে ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাব পরিচালনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা উত্তোলন করছেন। এতে অবৈধ চেয়ারম্যান ও ট্রেজারারের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা রয়েছে বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. মেরিনা সুলতানা, প্রফেসর ডা. দীনা, এ এস হোসেইন, ডা. রেজাউল হক জুয়েল, ডা. তানজিলা ফারাহ লিন্জা, ডা. রায়হান আগমেদ এবং ডা. ফারহানা কাসেমীসহ চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত বহু শিক্ষক-চিকিৎসক ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা অবিলম্বে অবৈধভাবে চাকরিচ্যুত সকল চিকিৎসক, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চাকুরী স্ব-পদে পুনর্বহাল, ট্রাস্টের অর্থ লোপাটের সঙ্গে জড়িতদের অপসারণ, বিধি বহির্ভূতভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও পরিচালকের অপসারণ, অবৈধভাবে পরিচালিত সকল ব্যাংক হিসাব বন্ধ এবং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

মানববন্ধন শেষে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত প্রশাসনিক ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow