ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট। সেই আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি আগামী সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) হবে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এ দিন ঠিক করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চ শুনানির এই দিন ঠিক করে আদেশ দেন।
আদালতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একেএম ফজলুল হক।
ড. ইউনূস ছাড়া অপর ছয় আবেদনকারী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
- আরও পড়ুন
- ড. ইউনূসের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ হাইকোর্টের
- ড. ইউনূসের কথা অসত্য, জনগণের জন্য অপমানজনক: আইনমন্ত্রী
এর আগে গত ২৪ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে একবছরের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে গত বছরের ৩০ মে মামলাটি করেন। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছে, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ। গত ১২ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এই মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য ১৫ জুলাই দিন ধার্য রাখেন। একপর্যায়ে অভিযোগ গঠনের আদেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা।
এফএইচ/এমএইচআর/জিকেএস