মামুন হত্যা: রিমান্ড শেষে আসামিরা কারাগারে

পুরান ঢাকার আদালত এলাকায় মামুন হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান এই আদেশ দেন। প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই আবু বকর বলেন, রিমান্ড শেষে ফারুক হোসেন ফয়সাল, রবিন আহমেদ পিয়াস ও মো. রুবেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করা হয়েছিল। এজন্য তাদের পৃথক আদালতে নেওয়া হয়; তবে তারা তিনজনই জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি বলেন, তারা জবানবন্দি না দেওয়ায় কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয় এবং আদালত তা মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে শামীম আহমেদকে জবানবন্দির বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কোনো মত না দেওয়ায় তাকেও সরাসরি কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই আবু বকর। তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ১০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে গুলি করে তারিক সাইফ মামুনকে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুই দিন পর নরসিংদী থেকে ফারুক, রবিন, রুবেল ও শামীমকে এবং পৃথক অভিযানে রায়েরবাজার থেকে ইউসুফকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি অনুযায়ী, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা

মামুন হত্যা: রিমান্ড শেষে আসামিরা কারাগারে

পুরান ঢাকার আদালত এলাকায় মামুন হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে চার আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান এই আদেশ দেন।

প্রসিকিউশন পুলিশের এসআই আবু বকর বলেন, রিমান্ড শেষে ফারুক হোসেন ফয়সাল, রবিন আহমেদ পিয়াস ও মো. রুবেলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করা হয়েছিল। এজন্য তাদের পৃথক আদালতে নেওয়া হয়; তবে তারা তিনজনই জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান।

তিনি বলেন, তারা জবানবন্দি না দেওয়ায় কারাগারে পাঠানোর আবেদন করা হয় এবং আদালত তা মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে শামীম আহমেদকে জবানবন্দির বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা কোনো মত না দেওয়ায় তাকেও সরাসরি কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান এসআই আবু বকর।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ১০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের সামনে গুলি করে তারিক সাইফ মামুনকে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুই দিন পর নরসিংদী থেকে ফারুক, রবিন, রুবেল ও শামীমকে এবং পৃথক অভিযানে রায়েরবাজার থেকে ইউসুফকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশের দাবি অনুযায়ী, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং দুই লাখ টাকার বিনিময়ে গুলি চালানোর কাজটি করেন। এ ছাড়া এক লাখ ৫৩ হাজার ৬৪০ টাকা, দুটি পিস্তল, গুলি এবং হত্যায় ব্যবহার করা মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে তদন্ত দল জানিয়েছে।

মামুনের স্ত্রী বিলকিস আক্তার রীপা সূত্রাপুর থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১০–১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, দিনে-দুপুরে জনসমক্ষে দুষ্কৃতিকারীরা গুলি করে মামুনকে হত্যা করে।

ছায়া তদন্তে থাকা কর্মকর্তারা বলছেন, মোবাইল নজরদারি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যের ভিত্তিতে শনাক্ত করেই আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

এমডিএএ/কেএএ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow