যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নতুন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করেছে ইরান। সম্প্রতি ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ১১টি দেশের নাগরিকদের ওপর ব্যাপক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তেহরান মার্কিন এই সিদ্ধান্তকে বর্ণবাদী মানসিকতার প্রতিফলন হিসেবে বর্ণনা করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, যা তার প্রথম মেয়াদের বিতর্কিত ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞারই পুনরাবৃত্তি। এই নিষেধাজ্ঞা জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাতে জারি করা হয়েছে।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রবাসীবিষয়ক বিভাগের মহাপরিচালক আলিরেজা হাশেমি-রাজা বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা মার্কিন নীতিনির্ধারকদের মধ্যে একটি শ্রেষ্ঠতাবাদী ও বর্ণবাদী মানসিকতা প্রচলিত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ।
তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত ইরানি ও মুসলিম জনগণের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদের গভীর শত্রুতার প্রতিচ্ছবি।
ইরান ছাড়াও যেসব দেশের নাগরিকদের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে সেগুলো হলো আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো-ব্রাজাভিল, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন। এছাড়া আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
হাশেমি-রাজা বলেন, এই নীতিটি আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নীতিমালা লঙ্ঘন করে এবং কেবল জাতি বা ধর্মের ভিত্তিতে শত শত মিলিয়ন মানুষকে ভ্রমণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে।
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয় এবং তখন থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক চরমভাবে উত্তেজনাপূর্ণ।
সূত্র: এএফপি
এমএসএম

4 months ago
73









English (US) ·