মার্কিন সতর্কতার পর ভেনেজুয়েলাগামী ফ্লাইট বাতিল করলো ৬ এয়ারলাইনস

উচ্চমাত্রার সামরিক কার্যক্রমের ফলে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমায় সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে মার্কিন সতর্কতা জারি করার পর ছয়টি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস দেশটিতে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে। ভেনেজুয়েলার এয়ারলাইনস অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি মারিসেলা দে লোয়াইজা জানান, স্পেনের ইবেরিয়া, পর্তুগালের টিএপি, চিলির লাতাম, কলম্বিয়ার অ্যাভিয়ানকা, ব্রাজিলের গোল এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ক্যারিবিয়ান এয়ারলাইনস আপাতত ফ্লাইট স্থগিত করেছে। তিনি ফ্লাইট স্থগিত থাকা কতদিন চলবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি। বর্তমানে যে এয়ারলাইনগুলো ফ্লাইট চালু রেখেছে, সেগুলো হলো— পানামার কোপা এয়ারলাইনস, স্পেনের এয়ার ইউরোপা ও প্লাসআল্টরা, তুর্কিশ এয়ারলাইনস এবং ভেনেজুয়েলার স্থানীয় লেজার এয়ারলাইনস। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সতর্ক করে জানায়, ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি অবনতি হওয়া এবং সামরিক কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ার কারণে আকাশসীমায় বেসামরিক বিমানগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হবে। বিবৃতিতে বলা হয়—এই পরিস্থিতি যেকোনো উচ্চতায় বিমান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে— ওভারফ্লাইট, অবতরণ, উড্ডয়ন এবং এমনকি বিমানবন্দরেও। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন সতর্কতার পর ভেনেজুয়েলাগামী ফ্লাইট বাতিল করলো ৬ এয়ারলাইনস

উচ্চমাত্রার সামরিক কার্যক্রমের ফলে ভেনেজুয়েলার আকাশসীমায় সম্ভাব্য ঝুঁকির বিষয়ে মার্কিন সতর্কতা জারি করার পর ছয়টি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস দেশটিতে তাদের ফ্লাইট বাতিল করেছে।

ভেনেজুয়েলার এয়ারলাইনস অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি মারিসেলা দে লোয়াইজা জানান, স্পেনের ইবেরিয়া, পর্তুগালের টিএপি, চিলির লাতাম, কলম্বিয়ার অ্যাভিয়ানকা, ব্রাজিলের গোল এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর ক্যারিবিয়ান এয়ারলাইনস আপাতত ফ্লাইট স্থগিত করেছে।

তিনি ফ্লাইট স্থগিত থাকা কতদিন চলবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি।

বর্তমানে যে এয়ারলাইনগুলো ফ্লাইট চালু রেখেছে, সেগুলো হলো— পানামার কোপা এয়ারলাইনস, স্পেনের এয়ার ইউরোপা ও প্লাসআল্টরা, তুর্কিশ এয়ারলাইনস এবং ভেনেজুয়েলার স্থানীয় লেজার এয়ারলাইনস।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সতর্ক করে জানায়, ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি অবনতি হওয়া এবং সামরিক কার্যক্রম বেড়ে যাওয়ার কারণে আকাশসীমায় বেসামরিক বিমানগুলোকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়—এই পরিস্থিতি যেকোনো উচ্চতায় বিমান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে— ওভারফ্লাইট, অবতরণ, উড্ডয়ন এবং এমনকি বিমানবন্দরেও।

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলটিতে একটি এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ, অন্যান্য নৌবাহিনীর জাহাজ এবং স্টেলথ বিমান মোতায়েন করেছে। ওয়াশিংটনের দাবি, এগুলো মাদক পাচার দমনের অংশ। তবে কারাকাস আশঙ্কা করছে, এর মাধ্যমে সরকারবিরোধী কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক পাচার সন্দেহে ২০টিরও বেশি নৌযানে হামলা চালিয়েছে, যাতে ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো প্রমাণ দিতে পারেনি যে টার্গেট করা এসব নৌযান সত্যিই মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল বা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কোনো হুমকি তৈরি করেছিল। এ নিয়ে অঞ্চলে উত্তেজনা আরও বেড়েছে।

সূত্র: এএফপি

এমএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow