মার্কিনিদের গাজা দখল মানবেন না ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

3 hours ago 4

ফিলিস্তিনের গাজাকে জনশূন্য করে দখল করার প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের উচ্চাভিলাষী ধারণার বিরোধিতা করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। স্থানীয় রেডিও স্টেশনগুলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের প্রস্তাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে ব্রাজিলের নেতা তা প্রত্যাখ্যান করেন। 

রয়টার্সের বুধবারের (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়- মার্কিনিদের গাজা দখলের ইচ্ছা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে লুলা বলেন, এটা অর্থহীন...ফিলিস্তিনিরা কোথায় থাকবে? এটা যে কোনো মানুষের কাছেই বোধগম্য নয়। ফিলিস্তিনিদেরই গাজার দায়িত্ব নেওয়া উচিত। কোনো দেশ, যতই গুরুত্বপূর্ণ হোক না কেন; সারা বিশ্বের সঙ্গে সর্বদা লড়াই করতে পারে না। 

তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রেরও বিশ্বকে প্রয়োজন। তাদের ব্রাজিল, মেক্সিকো, চীনের সাথে মিলেমিশে বসবাস করা উচিত। কেউই সবসময় শক্তি দেখিয়ে বাঁচতে পারে না, সবসময় হুমকি দিতে পারে না।

ট্রাম্প গত দুই মাসে একাধিকবার গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র পাঠানোর প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। গত জানুয়ারির শেষ দিকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের মিসর ও জর্ডানে পাঠানোর কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মতে, গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের মিসর এবং জর্ডানে স্থানান্তরিত করা উচিত।

সর্বশেষ নেতানিয়াহুর সঙ্গে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার ভবিষ্যৎ এবং ফিলিস্তিনিদের উপত্যকা থেকে অন্যত্র সরানো নিয়ে আলোচনা করেন ট্রাম্প। ওই আলোচনায় আবারও গাজা নিয়ে উচ্চাভিলাষী প্রস্তাব দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মঙ্গলবারের (৪ ফেব্রুয়ারি) বৈঠকটি হোয়াইট হাউসে হয়। 

ট্রাম্প বলেন, গাজার একটি গ্যারান্টি হলো- তারা (ফিলিস্তিনিরা) শেষ পর্যন্ত মারা যাবে। একই জিনিস (যুদ্ধ) আবার ঘটতে চলেছে । এটা বারবার ঘটেছে এবং এটা আবার ঘটতে চলেছে। তাই আমি আশা করি, আমরা এমন কিছু করতে পারব যে- সেখানে (গাজায়) তারা ফিরে যেতে চাইবে না। কে ফিরে যেতে চাইবে? সেখানে তারা মৃত্যু এবং ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই পেয়েছে।

ট্রাম্প আরও প্রস্তাব দেন, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হলো গাজাকে জনশূন্য করে দখল করা। এরপর আগামী কয়েক বছরে এখানে মনোরম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। তিনি বলেন, আমি একটি দীর্ঘমেয়াদি মালিকানার কথা বলছি। আমি দেখতে পাচ্ছি এর মাধ্যমে সম্ভবত সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে দুর্দান্ত স্থিতিশীলতা আসবে।

তিনি আরও বলেন, এটি হালকাভাবে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত না। আমি যাদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা সবাই এই ধারণাটি পছন্দ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র সেই জমির মালিক হবে, উন্নয়ন করবে এবং হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরি করবে।

Read Entire Article