বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে রোববার (০২ মার্চ) থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। এ বছরের খ্রিষ্টীয় মার্চ মাসের সঙ্গে হিজরি রমজান মাসের কিছুটা মিল আছে। সরকারি ছুটির প্রজ্ঞাপন অনুসারে ঈদুল ফিতরের মোট ৫ দিন ছুটির একটা অংশ মার্চ মাসেই পড়বে। এছাড়া মার্চে আরও কয়েক দিন সরকারি ছুটি রয়েছে।
সাধারণ এবং নির্বাহী আদেশে ছুটি-
২৬ মার্চ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং ২৮ মার্চ শবেকদর ও জুমাতুল বিদা। এছাড়া ঈদুল ফিতরে ২৯, ৩০, ৩১ মার্চ ও ( ১,২ এপ্রিলসহ মোট পাঁচ দিন ছুটি) ।
ঐচ্ছিক ছুটি : খ্রিস্টান পর্ব) ৫ মার্চ ভস্ম বুধবার এবং (হিন্দু পর্ব) ১৪ মার্চ দোলযাত্রা, ২৭ মার্চ হরিচাঁদ ঠাকুরের আবির্ভাব।
৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে ধরে প্রজ্ঞাপনে ছুটির তালিকা করা হয়েছে। তবে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের আগে দুই দিন ও পরের দুই দিন মিলিয়ে মোট ৫ দিন ছুটি থাকবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, যেসব অফিসের সময়সূচি ও ছুটি নিজস্ব আইন-কানুন দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে বা যেসব অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের চাকরি সরকার থেকে অত্যাবশ্যক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান নিজস্ব আইনকানুন অনুযায়ী জনস্বার্থ বিবেচনা করে এ ছুটি ঘোষণা করবে।
এদিকে, পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতরসহ আরও কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে ৪০ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে দেশের সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া আগামী ১০ এপ্রিল শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। যেসব প্রতিষ্ঠানে এ পরীক্ষার কেন্দ্র রয়েছে সেগুলোয় ২ মাস ১০ দিনের লম্বা ছুটি থাকবে।
শিক্ষাপঞ্জি বিশ্লেষণে দেখা গেছে, পবিত্র রমজান মাস, শুভ দোলযাত্রা, স্বাধীনতা দিবস, জুমাতুল বিদা, শবেকদর ও ঈদুল ফিতরের ছুটি ২ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ৮ এপ্রিল। ২৮ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ শুক্র ও শনিবারের ছুটি থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় সর্বশেষ ক্লাস হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। সে হিসেবে একটানা বন্ধ থাকবে ৪০ দিন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক (মাধ্যমিক) ইউনুছ ফারুকী বলেন, রমজান ও ঈদুল ফিতরসহ আরও কিছু ছুটি মিলিয়ে প্রায় ৪০ দিনের ছুটি শুরু হবে। সরকারি শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী এ ছুটি থাকবে। এ ছুটি সরকারি, বেসরকারি সব পর্যায়ে স্কুলের জন্য প্রযোজ্য।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দকার এহসানুল কবির বলেন, পরীক্ষার সময় বাদে স্কুল-কলেজগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যদি ক্লাস নিতে চায়, সেক্ষেত্রে কোনো নিষেধ নেই।
তবে, ২০ রমজান পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণির কার্যক্রম চালু রাখার দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। সম্প্রতি সংগঠনটির সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আজাদ খানের কাছে এ-সংক্রান্ত স্মারকলিপি দেন।