মালচা নাকি কেশরদাম, কী নামে চেনেন?

10 hours ago 7

সানজানা রহমান যুথী

সাধারণত যেসব উদ্ভিদের শেকড় স্থলে জন্মে কিন্তু এর কাণ্ড, শাখা-প্রশাখা পানিতে বিস্তার লাভ করে; এমন উদ্ভিদকে উভচর উদ্ভিদ বলে। এমনই একটি উদ্ভিদ হলো কেশরদাম। এর শাখা-প্রশাখা পানিতে থাকে বলে অনেকে একে জলজ উদ্ভিদ মনে করেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি একটি উভচর উদ্ভিদ।

বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই এ উভচর উদ্ভিদের দেখা মেলে। কেশরদাম সাধারণত মিঠাপানির অঞ্চলে জন্মে। তবে বিভিন্ন পুকুর, পতিত জলাশয় বিশেষ করে যে জলাশয়ের আগাছা দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয় না; সেসব অঞ্চলে কেশরদাম ভালো জন্মে।

কেশরদাম কোনো কোনো অঞ্চলে ‘মালচা’ নামেও পরিচিত। কেশরদামের ফুল সাদা এবং হলুদ হয়। সাদা ফুলের মধ্যবর্তী অংশে হলুদ রঙেরও দেখা মেলে। কেশরদাম পানিতে ভাসমান থাকে। এ উদ্ভিদে ‘অ্যারেনকাইমা’ কোষ থাকে। এ কোষের মধ্যে অক্সিজেনে পরিপূর্ণ থাকে। যার জন্য পানিতে ভাসতে থাকে। এ ছাড়া এর স্পঞ্জিলা শেকড় পানির ওপর উদ্ভিদের নিয়ন্ত্রণ রাখে।

আরও পড়ুন
মাগুরায় কুমড়ো ফুুল বিক্রি করে বাড়তি আয় 
ঘাস থেকে গুড় তৈরি করে স্বাবলম্বী খাদিজা বেগম 

এ উদ্ভিদ সাধারণত বীজ থেকে বংশবিস্তার করে। ফল ও বীজাধার দেখতে বেলুনাকৃতির। বীজ বাদামি বা ফিকে বাদামি রঙের হয়ে থাকে। কাণ্ড সবুজ বা হালকা খয়েরি, পাতা সবুজ। কোনো কোনো অঞ্চলে একে শাক হিসেবে খাওয়া হয়। আবার কেউ কেউ সালাদ হিসেবে খেয়ে থাকেন।

কেশরদাম আগাছা হিসেবে পরিচিত হলেও এটি একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এর আছে ব্যাপক ভেষজ গুণ। চুলকানি, ফুসকুড়ি, গ্যাস্ট্রিক, সর্দি, গলা ব্যথা, চর্মরোগে এটি ওষুধ হিসেবে কাজ করে।

এসইউ/জিকেএস

Read Entire Article