মালদ্বীপে কৃষি খামার পরিদর্শনে হাইকমিশনার
বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধি দল, হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে মালদ্বীপের হানিমাদহু দ্বীপের কৃষি খামার পরিদর্শন করেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন দ্বীপটির সিটি কাউন্সিলার আব্দুর সাত্তার হাসান। এ সময় কৃষি আধুনিকায়ন ও টেকসই উন্নয়নে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন হাইকমিশনার। পরিদর্শনকালে হাইকমিশনার হানিমাদহু কৃষি কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং কৃষি কর্মকর্তা ও কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি স্থানীয় কাউন্সিল পরিচালিত এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং টেকসই কৃষি উন্নয়ন-মালদ্বীপের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উল্লেখ করেন, দ্বীপ রাষ্ট্রের জন্য টেকসই কৃষি ও আধুনিক চাষাবাদ ভবিষ্যতের খাদ্য সুরক্ষার অন্যতম প্রধান ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশ থেকে কৃষি বিশেষজ্ঞ পাঠানোর প্রস্তাবগঠনমূলক আলোচনায় হাইকমিশনার কাউন্সিলার আব্দুর সাত্তার হাসানকে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কৃষি বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষক ও টেকনিক্যাল জনবল আনার প্রস্তাব দেন, যারা মালদ্বীপের কৃষি সক্ষমতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবেন। এছাড়া তিনি সম্ভাব্য সহযোগিতার আ
বাংলাদেশ হাইকমিশনের একটি প্রতিনিধি দল, হাইকমিশনার ড. মো. নাজমুল ইসলামের নেতৃত্বে মালদ্বীপের হানিমাদহু দ্বীপের কৃষি খামার পরিদর্শন করেছেন। তার সঙ্গে ছিলেন দ্বীপটির সিটি কাউন্সিলার আব্দুর সাত্তার হাসান।
এ সময় কৃষি আধুনিকায়ন ও টেকসই উন্নয়নে সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন হাইকমিশনার।
পরিদর্শনকালে হাইকমিশনার হানিমাদহু কৃষি কেন্দ্রের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং কৃষি কর্মকর্তা ও কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। তিনি স্থানীয় কাউন্সিল পরিচালিত এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং টেকসই কৃষি উন্নয়ন-মালদ্বীপের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি উল্লেখ করেন, দ্বীপ রাষ্ট্রের জন্য টেকসই কৃষি ও আধুনিক চাষাবাদ ভবিষ্যতের খাদ্য সুরক্ষার অন্যতম প্রধান ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে কৃষি বিশেষজ্ঞ পাঠানোর প্রস্তাব
গঠনমূলক আলোচনায় হাইকমিশনার কাউন্সিলার আব্দুর সাত্তার হাসানকে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কৃষি বিশেষজ্ঞ, প্রশিক্ষক ও টেকনিক্যাল জনবল আনার প্রস্তাব দেন, যারা মালদ্বীপের কৃষি সক্ষমতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবেন।
এছাড়া তিনি সম্ভাব্য সহযোগিতার আরও কয়েকটি দিক তুলে ধরেন- যেমন, বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও মালদ্বীপের সংশ্লিষ্ট সংস্থার মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা, যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, জ্ঞান ও দক্ষতা বিনিময়, প্রযুক্তি-নির্ভর আধুনিক কৃষি উন্নয়ন এবং মালদ্বীপে ফুড সাসটেইনেবিলিটি ও সিকিউরিটি বৃদ্ধি।
হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের কৃষি খাত বহুমুখী উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং টেকসই কৃষি প্রয়োগের এক উজ্জ্বল উদাহরণ। এসব অভিজ্ঞতা মালদ্বীপের কৃষি খাতকে শক্তিশালী করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
খাদ্য নিরাপত্তা ও কৃষি স্থিতিশীলতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে সহযোগিতা
তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন দুই দেশের কৃষি সহযোগিতা বৃদ্ধি পেলে-খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, স্থানীয় উৎপাদন সক্ষমতা বাড়বে, আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা মিলবে।
বাংলাদেশ মালদ্বীপের কৃষি সক্ষমতা উন্নয়ন, জলবায়ু সহনশীল চাষাবাদ ও কৃষি-ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার উদ্যোগে সহযোগিতা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
হাইকমিশনারের সঙ্গে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম-কল্যাণ উংয়ের কাউন্সিলার মো. সোহেল পারভেজ ও কল্যাণ সহকারী মো. জসীম উদ্দিন এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।
এমআরএম/জেআইএম
What's Your Reaction?