মালয়েশিয়ার ১২৫টি আন্তর্জাতিক প্রবেশদ্বারের দায়িত্ব ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করবে মালয়েশিয়া বর্ডার কন্ট্রোল এজেন্সি (একেপিএস)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক দাতুক সেরি মোহদ শুহাইলি মোহদ জাইন। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে একেপিএস দ্বিতীয় ধাপের অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে, যা আরও ১০৩টি প্রবেশদ্বারকে অন্তর্ভুক্ত করছে।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে ২২টি প্রবেশদ্বার সম্পূর্ণভাবে একেপিএস–এর অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। প্রধান সচিব আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন একটি পূর্ণাঙ্গ কৌশলগত পরিকল্পনা তৈরি করতে, যা শিগগিরই তাকে এবং সরকারি সেবার মহাপরিচালককে উপস্থাপন করা হবে।
শুহাইলি আরও জানান, নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সরকারি সেবা বিভাগ (জেপিএ) এবং পরিবহন মন্ত্রণালয়সহ (এমওটি) সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা অংশ নেবে। বৈঠকে কর্মপদ্ধতি, জনবল এবং সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করা হবে।
তিনি বলেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী যে দ্বিতীয় ধাপ সফলভাবে সম্পন্ন করতে পারব এবং ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়া হবে।

বিদেশি সীমান্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে তুলনা প্রসঙ্গে শুহাইলি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের মতো দেশের সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সংস্থাগুলো কার্যকরভাবে স্থিতিশীল হতে প্রায় এক দশক সময় নিয়েছিল। অথচ একেপিএস–এর বয়স মাত্র এক বছর। তাই সংস্থাটির কাঠামো ও প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে সময় প্রয়োজন।
তিনি মালয়েশিয়ার নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা ও প্রবেশ–নিষেধাজ্ঞা প্রক্রিয়ার সময় ধৈর্য ধারণ করতে এবং দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের সহযোগিতা করতে। এটি জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মানের প্রতিফলন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (কেএলআইএ)সহ কয়েকটি প্রবেশদ্বারে অভিযোগ ও ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত একেপিএস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি অভিযোগ সিসিটিভি ফুটেজ এবং সাক্ষ্য–প্রমাণের মাধ্যমে বিস্তারিতভাবে যাচাই করা হয়, যেন ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা যায়—শুধু অভিযোগকারী নয় বরং দায়িত্বশীল সামনের সারির কর্মকর্তাদের প্রতিও।
২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে নিজের হাতে নিতে যাচ্ছে একেপিএস। সংস্থাটি এখন দ্বিতীয় ধাপের বাস্তবায়ন পর্যায়ে আছে এবং সরকার আত্মবিশ্বাসী যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
এমআরএম

5 hours ago
9









English (US) ·