মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস পালন করা হয়েছে।
মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণে 'July Beyond Borders' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আলোচ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
কুয়ালামপুরস্থ হাইকমিশনের মিলনায়তনে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এ সময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এছাড়া জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়।
অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের ওপর গ্রাফিতি ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান, এনডিসি। উল্লেখ্য, ডিজিটাল মাধ্যমে এই প্রদর্শনীটি দূতাবাসে আগত সেবাপ্রার্থী ও দর্শনার্থীদের জন আগামী সপ্তাহেও উন্মুক্ত থাকবে।
গ্রাফিতি ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর অনুষ্ঠানে গণ-অভ্যুত্থানের ওপর এবং অভ্যুত্থানে প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অবদান নিয়ে নির্মিত দুটি পৃথক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি এবং রেমিট্যান্সযোদ্ধা দিবস উপলক্ষে হাইকমিশনার শামীম আহসান অতিথিদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। শুরুতেই তিনি '২৪ এর জুলাই অভ্যুত্থানের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বীর যোদ্ধাদের এবং রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের আকাঙ্ক্ষা নিয়ে যে অভ্যুত্থান অনুষ্ঠিত হয় সে আকাঙ্ক্ষাকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রবাসীবান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। সরকারের অব্যাহত কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা চালু করেছে মালয়েশিয়ার সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফরের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ইতিহাসের সেরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে অবস্থান করছে। এছাড়া প্রবাসী শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত, ব্যবসা বাণিজ্যসহ প্রসারসহ বহুমাত্রিক দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে এ সফরে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রবাসীদের চাহিত সেবা যেমন পাসপোর্ট-ভিসা, কনসুলার সেবা, কর্মসংস্থানসহ কল্যাণমূলক সকল প্রকার সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। দূতাবাসের সেবা ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমেও সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাইকমিশনের ভ্রাম্যমাণ কনস্যুলার সেবা ছুটির দিনগুলোতে বিভিন্ন স্থানে নিয়মিতভাবে দেওয়া হচ্ছে।
এমআরএম/জেআইএম