মালয়েশিয়ায় বাড়ছে ডিজিটাল ই-ওয়ালেটের ব্যবহার

মালয়েশিয়ায় বাড়ছে ডিজিটাল ই-ওয়ালেটের ব্যবহার। নগদবিহীন অর্থনীতির দিকে অগ্রগতির অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার জনপরিবহনে ‌‘মাই ৫০’ পাসের ডিজিটাল ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই থেকে টাচ ‘এন গো ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে পাস কেনা ও নবায়ন সুবিধা চালু হওয়ার পর থেকে মাসে মাসে লেনদেনের হার বাড়ছে। পার্লামেন্টে দেওয়া লিখিত উত্তরে পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, জুলাই ও আগস্টে ডিজিটাল মাই ৫০ লেনদেন ছিল ২৬ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে বেড়ে ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছে। মাই ৫০ একটি ৩০ দিনের সীমাহীন যাত্রার পাস, যার মূল্য ৫০ আরএম। এই পাস ব্যবহার করে র‍্যাপিড কেএল-এর এলআরটি, এমআরটি, বিআরটি, মনোরেল ও র‌্যাপিড বাস সেবায় সীমাহীন ভ্রমণ করা যায়। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডিজিটাল সেবার প্রতি যাত্রীদের আস্থা বাড়ছে, যা নগদবিহীন লেনদেন ব্যবস্থার সফল অগ্রগতি নির্দেশ করে। এতে কাউন্টারে ভিড় কমেছে এবং সেবার কার্যকারিতা বেড়েছে। মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, জুলাইয়ে প্রায় ৭৬ হাজার যাত্রী কাউন্টারে না গিয়ে ডিজিটাল সেবা নিয়েছেন, আগস্টে ৮১ হাজার, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৫৬ হাজার যাত্রী অনলাইনে পাস নবায়ন করেছেন। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালুর আ

মালয়েশিয়ায় বাড়ছে ডিজিটাল ই-ওয়ালেটের ব্যবহার

মালয়েশিয়ায় বাড়ছে ডিজিটাল ই-ওয়ালেটের ব্যবহার। নগদবিহীন অর্থনীতির দিকে অগ্রগতির অংশ হিসেবে মালয়েশিয়ার জনপরিবহনে ‌‘মাই ৫০’ পাসের ডিজিটাল ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

২০২৪ সালের জুলাই থেকে টাচ ‘এন গো ই-ওয়ালেটের মাধ্যমে পাস কেনা ও নবায়ন সুবিধা চালু হওয়ার পর থেকে মাসে মাসে লেনদেনের হার বাড়ছে।

পার্লামেন্টে দেওয়া লিখিত উত্তরে পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, জুলাই ও আগস্টে ডিজিটাল মাই ৫০ লেনদেন ছিল ২৬ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বর মাসে বেড়ে ৩৩ শতাংশে পৌঁছেছে।

মাই ৫০ একটি ৩০ দিনের সীমাহীন যাত্রার পাস, যার মূল্য ৫০ আরএম। এই পাস ব্যবহার করে র‍্যাপিড কেএল-এর এলআরটি, এমআরটি, বিআরটি, মনোরেল ও র‌্যাপিড বাস সেবায় সীমাহীন ভ্রমণ করা যায়।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ডিজিটাল সেবার প্রতি যাত্রীদের আস্থা বাড়ছে, যা নগদবিহীন লেনদেন ব্যবস্থার সফল অগ্রগতি নির্দেশ করে। এতে কাউন্টারে ভিড় কমেছে এবং সেবার কার্যকারিতা বেড়েছে।

মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, জুলাইয়ে প্রায় ৭৬ হাজার যাত্রী কাউন্টারে না গিয়ে ডিজিটাল সেবা নিয়েছেন, আগস্টে ৮১ হাজার, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ৫৬ হাজার যাত্রী অনলাইনে পাস নবায়ন করেছেন।

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালুর আগে পিক আওয়ারে প্রতিজন গ্রাহকের গড় অপেক্ষার সময় ছিল প্রায় ৮ মিনিট। ই-ওয়ালেট ব্যবহারের হার ৫-৭ শতাংশ বাড়লে কাউন্টারে সেবা নেওয়া গ্রাহকের সংখ্যা সমানুপাতিকভাবে কমেছে।

এর আগে পরিবহনমন্ত্রী অ্যান্থনি লোক ঘোষণা করেন, ১ জুলাই থেকে মাই ৫০ পাস নবায়ন ও ব্যবহার ডিজিটালি সম্ভব হবে। ব্যবহারকারীরা ই-কে ওয়াইসি পদ্ধতিতে নাগরিকতা যাচাই করে এনএফসি-সমৃদ্ধ টাচএনগো কার্ডের মাধ্যমে সরাসরি ই-ওয়ালেট থেকে পাস সক্রিয় করতে পারবেন, এক্ষেত্রে মাইকাড প্রদর্শনের প্রয়োজন হবে না।

তবে যারা প্রযুক্তি ব্যবহারে অনভিজ্ঞ বা স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারে সীমিত-তাদের জন্য মাইকাড দিয়ে কাউন্টারে নবায়নের সুযোগ আগের মতোই চালু থাকবে।

এমআরএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow