মালয়েশিয়ায় বিমানে ওঠার আগে প্রবাসীর মৃত্যু

2 months ago 22
মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরার পথে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে মৃত্যু হয়েছে মো. হাকমত আলি খান (৪৪) নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশির।  শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দেশে ফেরার উদ্দেশে কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সব প্রক্রিয়া শেষে বিমানে ওঠার আগ মুহূর্তের চেকিংয়ে মৃত্যু হয় তার।  মালয়েশিয়ার স্থানীয় সময় ৩টা ৪০ মিনিটে কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা ইউএস বাংলার-৩১৬ ফ্লাইটে দেশে ফেরার কথা ছিল ওই প্রবাসীর। নিহত হাকমত আলি খানের বাড়ি কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার সদর রসুলপুরে। তার বাবার নাম মো. ফজলুল হক খান ও মা ফিরোজা খাতুন।  ইউএস বাংলা বিমানের স্টেশন ম্যানেজার মো. আমানুল হক মৃধা পলাশ কালবেলাকে জানান, অন্যান্য যাত্রীর মতো হাকমত আলি খান বোর্ডিং সম্পন্ন করে ইমিগ্রেশন পার হন। এসময় সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন তিনি। বিমানে ওঠার আগমুহূর্তে সবশেষ চেকিংয়ের গেটে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এসময় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিকাল ৪টা ৩৩ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের মরদেহ বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়নে সেরডাং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানান ইউএসবাংলার এ কর্মকর্তা। এদিকে ট্রাভেল এজেন্সি এনজেডট্রিপ কর্তৃপক্ষ বলছে, ২৭ সেপ্টেম্বর কুয়ালালামপুর অফিসে গিয়ে হাকমত আলি খান নামে ওই প্রবাসীর কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকা আসার একটি বিমান টিকিট ক্রয় করেন। তার মৃত্যুর খবর দুঃখজনক উল্লেখ করে মরদেহ দেশে পাঠাতে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস দেন এজেন্সি কর্তৃপক্ষ।     নিহত হাকমত আলি খানের মরদেহ দেশে পাঠাতে তার ভিসা প্রদানকারী এজেন্সি ও বাংলাদেশ হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইন অনুযায়ী বৈধ ভিসাধারীর মরদেহ দেশে পাঠানোর দায়দায়িত্ব তার নির্ধারিত এজেন্সির ওপর বর্তায়।
Read Entire Article