মালয়েশিয়ায় মাইএনআইআইএসইতে সহজ হলো ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া

মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর সীমান্তে প্রতিদিন যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে জাতীয় সমন্বিত ইমিগ্রেশন সিস্টেম মাইএনআইআইএসই। জোহর বাহরুর বিল্ডিং সুলতান ইস্কান্দারে এই অ্যাপভিত্তিক ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া এখন আরও দ্রুত ও সহজ হয়েছে। কিউআর কোড স্ক্যানভিত্তিক এই নতুন ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন সীমান্ত ব্যবহারকারীরা। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরে কর্মরত প্রতিদিনের যাত্রীদের জন্য এটি সময় সাশ্রয়ী ও ঝামেলামুক্ত সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগে যেখানে হাতে হাতে পাসপোর্ট স্ক্যান করতে দীর্ঘ সময় লাগত, সেখানে এখন মোবাইল ফোনে কিউআর কোড দেখালেই কয়েক সেকেন্ডে পারাপার সম্ভব হচ্ছে। পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নতুন এই ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। নিয়মিত ব্যবহারকারী এ. গুরুবালান জানান, আগে শুধু পাসপোর্ট স্ক্যানের জন্যই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। তিনি বলেন, সকাল আর বিকেলে যাতায়াতকারীর চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এখন শুধু কিউআর কোড দেখালেই দুই সেকেন্ডের মধ্যেই পার হয়ে যাওয়া যায়। সত্যিই সময় বাঁচে এবং খুবই সুবিধাজনক। এনআইআইএসই হলো নতুন প্রজন্মের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা, যা পুরোনো মাইআইএমএমএসে

মালয়েশিয়ায় মাইএনআইআইএসইতে সহজ হলো ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া

মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর সীমান্তে প্রতিদিন যাতায়াতকারী যাত্রীদের জন্য স্বস্তি নিয়ে এসেছে জাতীয় সমন্বিত ইমিগ্রেশন সিস্টেম মাইএনআইআইএসই। জোহর বাহরুর বিল্ডিং সুলতান ইস্কান্দারে এই অ্যাপভিত্তিক ব্যবস্থা চালু হওয়ায় ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া এখন আরও দ্রুত ও সহজ হয়েছে।

কিউআর কোড স্ক্যানভিত্তিক এই নতুন ব্যবস্থাকে স্বাগত জানিয়েছেন সীমান্ত ব্যবহারকারীরা। বিশেষ করে সিঙ্গাপুরে কর্মরত প্রতিদিনের যাত্রীদের জন্য এটি সময় সাশ্রয়ী ও ঝামেলামুক্ত সমাধান হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগে যেখানে হাতে হাতে পাসপোর্ট স্ক্যান করতে দীর্ঘ সময় লাগত, সেখানে এখন মোবাইল ফোনে কিউআর কোড দেখালেই কয়েক সেকেন্ডে পারাপার সম্ভব হচ্ছে।

পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, নতুন এই ব্যবস্থায় ব্যবহারকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। নিয়মিত ব্যবহারকারী এ. গুরুবালান জানান, আগে শুধু পাসপোর্ট স্ক্যানের জন্যই দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো।

মালয়েশিয়ায় মাইএনআইআইএসইতে সহজ হলো ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া

তিনি বলেন, সকাল আর বিকেলে যাতায়াতকারীর চাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এখন শুধু কিউআর কোড দেখালেই দুই সেকেন্ডের মধ্যেই পার হয়ে যাওয়া যায়। সত্যিই সময় বাঁচে এবং খুবই সুবিধাজনক।

এনআইআইএসই হলো নতুন প্রজন্মের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা, যা পুরোনো মাইআইএমএমএসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনাকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও স্বচ্ছ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই সিস্টেম কমপ্লেক্স সুলতান আবু বকর ও বিল্ডিং সুলতান ইস্কান্দারে চালু রয়েছে।

নতুন এই ব্যবস্থায় তথ্যের নির্ভুলতা বৃদ্ধি, দ্রুত যাচাই প্রক্রিয়া এবং শক্তিশালী সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করা হচ্ছে, যা দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও সুদৃঢ় করবে।

কিউআর কোড ব্যবস্থার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ কমপ্লেক্স সুলতান আবু বকর ও বিল্ডিং সুলতান ইস্কান্দারতে শুরু হয়েছে। পরীক্ষামূলক এই ধাপে তিনটি প্রধান মোড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে যানবাহন লেন, ১৫ অক্টোবর ২০২৫ থেকে মোটরসাইকেল ই-গেট, একই তারিখে পথচারী ই-গেট, এই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত।

একই সঙ্গে মাইএনআইআইএসই অ্যাপের মাধ্যমে বিদেশি ভ্রমণকারীরা সরাসরি মালয়েশিয়া ডিজিটাল অ্যারাইভাল কার্ড পূরণ করতে পারছেন, আলাদা ওয়েবসাইটে প্রবেশের প্রয়োজন ছাড়াই। ফলে দেশের প্রাক-প্রবেশ প্রক্রিয়াও আরও দ্রুত হচ্ছে।

ডিজিটাল রূপান্তরের এই উদ্যোগ ‘মালয়েশিয়া মাদানি’–এর লক্ষ্য ও দর্শনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বর্তমানে মাইএনআইআইএসই অ্যাপটি অ্যাপল অ্যাপ স্টোর, গুগল প্লে ও হুয়াওয়ে অ্যাপগ্যালারিতে পাওয়া যাচ্ছে।

মালয়েশিয়ায় মাইএনআইআইএসইতে সহজ হলো ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া

আরেক ব্যবহারকারী ফারহানউদ্দিন আব রাজাক (২৫) বলেন, যারা প্রতিদিন সিঙ্গাপুরে কাজে যান, তাদের জন্য এটি আদর্শ সমাধান। আগের তুলনায় অনেক দ্রুত ও সহজ।

তবে তিনি মোটরসাইকেল, গাড়ি ও পথচারী লেনে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান, যেন স্ক্যানিংয়ের সময় কোনো সমস্যা না হয়।

অন্যদিকে সাইফিক মোহাম্মদ কাসিম (৩৫) বলেন, বিল্ডিং সুলতান ইসকান্দরে দীর্ঘদিনের যানজট সমস্যা সমাধানে মাইএনআইআইএসই বড় ভূমিকা রাখছে। নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রী সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যায়, সেখানে এমন দ্রুত ব্যবস্থা খুবই প্রয়োজন ছিল।

তিনি আরও বলেন, প্রক্রিয়া দ্রুত হলে সবাই সুশৃঙ্খলভাবে চলাচল করতে পারে। সামগ্রিকভাবে এই ব্যবস্থা অত্যন্ত কার্যকর।

এমআরএম/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow