মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন

যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎসবমুখর পরিবেশে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান শুরু হয়।  জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মনজুরুল করিম খান চৌধুরী। পতাকা উত্তোলন শেষে হাই কমিশনের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। মনজুরুল করিম খান চৌধুরী তার বক্তৃতায় ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪-এর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বিজয় দিবসকে আমাদের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতার মর্যাদার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন। স্বাধীনতার পরবর্তী এই দীর্ঘ সময়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্জন একেবারে কম নয়। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ছাত্র প্রতিনিধি ও প্রবাসীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।  হাইকমিশনার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এবং জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে প্রবাসীদের ভূমিকা এবং অবদানের প্রশংসা

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদায় উৎসবমুখর পরিবেশে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান শুরু হয়।  জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মনজুরুল করিম খান চৌধুরী। পতাকা উত্তোলন শেষে হাই কমিশনের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। মনজুরুল করিম খান চৌধুরী তার বক্তৃতায় ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪-এর জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। তিনি বিজয় দিবসকে আমাদের সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতার মর্যাদার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেন। স্বাধীনতার পরবর্তী এই দীর্ঘ সময়ে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অর্জন একেবারে কম নয়। অনুষ্ঠান শেষে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, ছাত্র প্রতিনিধি ও প্রবাসীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।  হাইকমিশনার বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় এবং জাতির বিভিন্ন ক্রান্তিলগ্নে প্রবাসীদের ভূমিকা এবং অবদানের প্রশংসা করেন। তিনি ৭১ ও ২৪-এর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আকাঙ্ক্ষার সফল বাস্তবায়নে সবাইকে একযোগে কাজ করতে আহ্বান জানান। হাইকমিশনার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটে পোস্টাল ভোটের মাধ্যমে অংশ নেওয়ার জন্য মালয়েশিয়া প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান এবং দ্রুত নিবন্ধনে সহায়তার জন্য প্রবাসীদের সব পেশাজীবী, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি অনুরোধ জানান। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং ২০২৪-এর জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের নেতা, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪-এর অভ্যুত্থানের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয় এবং বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর প্রবাসী শিক্ষার্থী এবং হাইকমিশনের কর্মচারীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশন করা হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow