মালয়েশিয়ায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মোট ৩১৯ জন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে মালয়েশিয়ান দুর্নীতি দমন কমিশন (এমএসিসি)।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গ্রেফতারদের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, মধ্যম ব্যবস্থাপনা, পেশাদার কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সহায়ক কর্মচারীরাও রয়েছেন।
মাসভিত্তিক গ্রেফতারের চিত্র
জানুয়ারি: মোট ৬৩ জন সরকারি কর্মচারী গ্রেফতার হন। এর মধ্যে ৩৫ জন ছিলেন ব্যবস্থাপনা ও পেশাদার পর্যায়ের কর্মকর্তা, আর বাকিরা সহায়ক কর্মচারী।
ফেব্রুয়ারি: ৪৭ জন সরকারি কর্মচারীকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন।
মার্চ: এ মাসে গ্রেফতার হয় ৪১ জন।
এপ্রিল: দুর্নীতির অভিযোগে ৩৯ জন সরকারি কর্মচারী গ্রেফতার হন।
মে: মোট ৪৫ জনকে গ্রেফতার করে এমএসিসি।
জুন: এ মাসে ২৮ জন সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়।
জুলাই: গ্রেফতারের সংখ্যা বাড়তে বাড়তে দাঁড়ায় ৩১ জনে।
আগস্ট: দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেফতার হন ২৫ জন কর্মকর্তা।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গ্রেফতারদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশই ব্যবস্থাপনা ও পেশাদার শ্রেণির কর্মকর্তা। তবে সহায়ক বিভাগের কর্মচারীরাও দুর্নীতিতে জড়িত। সরকারি সেবার প্রায় সব স্তরেই দুর্নীতি বিস্তার লাভ করেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন জানিয়েছে, সরকারি সেবায় দুর্নীতি একটি গুরুতর হুমকি এবং এটি শুধু প্রশাসনিক স্বচ্ছতাকেই নয়, জনগণের আস্থাকেও ক্ষতিগ্রস্ত করছে। কমিশন এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করছে, দুর্নীতি দমন প্রক্রিয়া কেবল নিম্নপদস্থ কর্মচারী নয়, উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও চলছে। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—এত ব্যাপক গ্রেপ্তার সত্ত্বেও দুর্নীতি কমছে কি না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে কঠোর নজরদারি এবং আইনের নিরপেক্ষ প্রয়োগ ছাড়া এই প্রবণতা ঠেকানো কঠিন হবে।
এমআরএম/এমএস