মাস না পেরোতেই সড়কে ভাঙন, চলছে সংস্কার

3 months ago 29

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার গুলশান মোড় থেকে নাজিরদহ বানিয়াটারী পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হতে না হতেই ভাঙন শুরু হয়েছে। সামান্য বৃষ্টির পানিতে ভেঙে যাচ্ছে রাস্তা ও সোল্ডার। সড়কটি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী করার দাবি স্থানীয়দের। তবে রোববার (২৫ মে) থেকে ওই সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার।

স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রায় ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গুলশান মোড়-হারাগাছ নাজিরদহ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে ছিল খানাখন্দে ভরা। যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে গত বছরের নভেম্বরে পল্লি সড়ক সংস্কার প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়কটির ২ দশমিক ৪০০ মিটার মেরামত ও সম্প্রসারণের জন্য নির্মাণ কাজ আহ্বান করা হয়। কাজটি পায় ‘সঙ্গী ট্রেডার্স’। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে সড়কটি মেরামত ও সম্প্রসারণসহ রাস্তার দুই পাশে সোল্ডারে মাটি ভরাট এবং গাইড ওয়াল নির্মাণ কাজ শেষ হয়।

তবে নাজিরদহ বানিয়াটারী এলাকার বাসিন্দা তোবারক আলী বলেন, অপরিকল্পিতভাবে পুকুরের পাশে সড়ক নির্মাণ কাজ করায় বৃষ্টিতে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। যেখানে গাইড ওয়াল দেওয়া উচিত ছিল, সেখানে গাইড ওয়াল দেওয়া হয়নি। এতে সরকারেরও যেমন ক্ষতি হচ্ছে, সাধারণ মানুষ ও যানচলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

মোটরসাইকেল চালক হাফিজুর রহমান বলেন, রাস্তার কাজ শুরুর আগেও ভাঙা রাস্তার জন্য ভুগতে হয়েছে। কাজ শেষ হতে না হতেই বৃষ্টিতে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে।

নাজিরদহ বানিয়াটারীর আব্দুল করিম বলেন, নির্মাণ শেষে মাস না পেরোতেই সামান্য বৃষ্টির পানিতে ভেঙে যায় সড়ক। দায়সারাভাবে কাজ করার ফলে বৃষ্টির পানিতে আবারো একইস্থানে ভেঙে গেছে। এছাড়া পুরো সড়ক জুড়ে বেশ কয়েকটি স্থানে সোল্ডারের ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা তালিম মোল্লা বলেন, উপজেলা সদরে যাওয়ার জন্য এই সড়কটি একমাত্র পথ। প্রতিদিন কয়েকশ যানবাহন চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। দীর্ঘদিন পর সড়কটি সংস্কার করা হলো। কিন্তু বৃষ্টি হলেই রাস্তা ভাঙছে। রাস্তার বালি ও মাটি আবাদি জমি ও পুকুরে এসে পড়ছে। গ্রামীণ জনপদের যোগাযোগ উন্নয়নে সড়কটি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী করার দাবি স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের একপাশে বিশাল বড় পুকুর থাকায় নেই কোনো গাইড ওয়াল। এক রাতের বৃষ্টির পানিতে সড়কটির প্রায় ১০ ফুট এলাকা ধসে পড়েছে। এতে করে চরম হুমকির মুখে পড়েছে সড়কটি। এছাড়া আরও কয়েকটি স্থানও ধসে পড়ার মুখে রয়েছে।

সঙ্গী ট্রেডার্সের ঠিকাদার আবু সামা জাগো নিউজকে বলেন, রোববার থেকে সেখানে লোক লাগানো হয়েছে, কাজ চলছে।

সড়কটির সংস্কার কাজ তদারকির দায়িত্বে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগ (এলজিইডি) কাউনিয়া উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী জাকিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, রাস্তার দুই ধারে পুকুর আছে। বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় ভাঙন দেখা দিলে তা মেরামত করে দিতে হবে, এমন শর্ত ছিল ঠিকাদারের সঙ্গে। সে অনুযায়ী রোববার থেকে রাস্তার ভাঙনকবলিত জায়গায় মেরামতের কাজ শুরু করেছেন ঠিকাদার।

এফএ/জিকেএস

Read Entire Article