মায়ের কবরেই চিরনিদ্রায় গেলেন অঞ্জন

2 hours ago 5

জাতীয় জাদুঘরের সামনে নির্মাতা জাহিদুর রহিম অঞ্জনকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে আসেন চলচ্চিত্র আন্দোলনকর্মী থেকে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা। এর আগে আজ (২৭ ফেব্রুয়ারি) বৃহস্পতিবার বাদ যোহর তৃতীয় জানাজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজা সম্পন্ন হয়।

দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে আজিমপুর কবরস্থানে মায়ের কবরে সমাহিত হন তিনি। এসময় অঞ্জনের পরিবারের সদস্যসহ উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র কর্মী ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বহু পরিচিত মানুষ।

এর আগে বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে অঞ্জনের মরদেহ ঢাকা নিয়ে আসা হয়। রাতে ইস্কাটন বিয়াম স্কুল মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় অঞ্জনের মরদেহ নেওয়া হয় সিদ্ধেশ্বরী স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে, সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মায়ের কবরেই চিরনিদ্রায় গেলেন অঞ্জন

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গালুরুর স্পর্শ হাসপাতালে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের পর অপারেশন পরবর্তী জটিলতায় জাহিদুর রহিম অঞ্জন মারা যান। ২০১৪ সালে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের গল্প ;রেইনকোট; অবলম্বনে জাহিদুর রহিম অঞ্জন নির্মাণ করেন মেঘমল্লার। প্রথম ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।

১৯৯০ সালে আন্তন চেকভের গল্প অবলম্বনে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র মর্নিং নির্মাণ করেন অঞ্জন। এটি তার পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি কয়েকটি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়। ২০০৭ সালে বাঙালি চিন্তাবিদ অতীশ দীপঙ্করের জীবনী নিয়ে তিনি নির্মাণ করেন ‘শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্কর’।

জাহিদুর রহিম অঞ্জন ভারতের পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউট থেকে চলচ্চিত্র বিষয়ে ডিগ্রি নিয়েছেন। সর্বশেষ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এ ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে পড়াতেন তিনি। অঞ্জন বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য। ২০০৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি এই ফোরামের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

এমআই/এলআইএ/এমএস

Read Entire Article