মায়ের দুর্ঘটনার খবরে হাসপাতালে একমাত্র ছেলের মৃত্যু

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) তাপসী রাবেয়া হলের ডাইনিং সহকারী সীমাধরের সড়ক দুর্ঘটনার খবরে তার একমাত্র ছেলে পলাশ ধর (৪৫) স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে। সীমাধরের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সীমাধর যশোরের বেজপাড়ার বাসিন্দা। জানা যায়, আজ সোমবার বিকেল যশোর শহর থেকে ডাক্তার দেখিয়ে সিএনজি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন সীমাধর। পথিমধ্যে বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে শানতলা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সীমাধর গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তার একমাত্র ছেলে পলাশ ধর। মায়ের দুর্ঘটনায় তিনি ভীষণভাবে ভেঙে পড়েন। এ অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হঠাৎ স্ট্রোক করেন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ। বর্তমানে সীমাধরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি এখনো কথা বলতে পারছেন না। ঘটনার পর তাপসী রাবেয়া হলের প্রভোস্ট ড. নাজনীন নাহার তাকে হাসপাতালে দেখত

মায়ের দুর্ঘটনার খবরে হাসপাতালে একমাত্র ছেলের মৃত্যু

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) তাপসী রাবেয়া হলের ডাইনিং সহকারী সীমাধরের সড়ক দুর্ঘটনার খবরে তার একমাত্র ছেলে পলাশ ধর (৪৫) স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে। সীমাধরের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বর্তমানে তিনি যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সীমাধর যশোরের বেজপাড়ার বাসিন্দা।

জানা যায়, আজ সোমবার বিকেল যশোর শহর থেকে ডাক্তার দেখিয়ে সিএনজি করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন সীমাধর। পথিমধ্যে বিকেল আনুমানিক ৪টার দিকে শানতলা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে সীমাধর গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তার একমাত্র ছেলে পলাশ ধর। মায়ের দুর্ঘটনায় তিনি ভীষণভাবে ভেঙে পড়েন। এ অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হঠাৎ স্ট্রোক করেন এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ। বর্তমানে সীমাধরের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি এখনো কথা বলতে পারছেন না।

ঘটনার পর তাপসী রাবেয়া হলের প্রভোস্ট ড. নাজনীন নাহার তাকে হাসপাতালে দেখতে যান। তিনি জানান, এটা একটি মর্মান্তিক ঘটনা। এখনো তার জ্ঞান ফেরেনি। ওনার কোনো সন্তান না থাকায় হলের কর্মকর্তা আবু সাঈদ হাসপাতালে তার পাশে অবস্থান করছেন। এখন তাৎক্ষণিকভাবে আর্থিক সহযোগিতা করেছি। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে তার পাশে থাকার চেষ্টা করব।

উল্লেখ, সীমাধর দীর্ঘ ১২ বছর যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের তাপসী রাবেয়া হলে কর্মরত। তাপসী রাবেয়া হলের ছাত্রীরা জানান তিনি অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। সবার সাথেই সুন্দর ব্যবহার করেন। হলটির ছাত্রীরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার তার আসু সুস্থতা কামনা করেছেন এবং তার ছেলের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow