মিথ্যা প্রমাণিত হলে আমি উল্টো মানহানির মামলা করব: হিরো আলম

2 hours ago 6

কারো সঙ্গে সামান্য কিছু ঘটলেই মামলার হুমকি দিতেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। ছুটে যেতেন ডিবিতে। সেই সঙ্গে লাইভে এসেও নানান রকম নেতিবাচক কথা বলতেন। এরকম অসংখ্য অভিযোগ আছে তার নামে। তবে এবার সেই হিরো আলমের বিরুদ্ধেই মামলা করা হয়েছে। গত ২৪ আগস্ট তার নামে এ মামলা করেছেন প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি। এ মামলার চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকও আসামি হয়েছেন।

হিরো আলম বলেন, ‘আমার নামে এটা শতভাগ মিথ্যা মামলা। তার কাছ থেকে যে আমি টাকা নিয়েছি সেটার কোনো প্রমাণ আছে? কোনো সাক্ষী আছে? যদি থাকে সেটা যেন জানাতে বলেন। আর না থাকলে এবং আদালতে মিথ্যা প্রমাণিত হলে আমি উল্টো মানহানির মামলা করব’।

মামলার বিষয়টি আইনিভাবেই মোকাবেলা করবেন জানিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘ভেবেছিলাম নিজেরা নিজেরা একটা সমাধান করব, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আদালতের মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে। আমি জানি শতভাগ মিথ্যা মামলার বিষয়টি আদালতেও টিকবে না’।

প্রযোজক সিমি দাবি করেন, তার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম আপন। বিষয়টি নিয়ে চলতি বছর জানুয়ারির ২৮ তারিখ লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি। সাধারণ ডায়েরি ও প্রযোজক সমিতির মাধ্যমে সুরাহার চেষ্টা করলেও সমাধান পাননি তিনি। তাই বাধ্য হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

জানা গেছে, অপু বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেলগুলোর ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন জাহিদুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত বছর আগস্টে সিমির ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক করেছেন বিবাদী অপু বিশ্বাস ও জাহিদুল ইসলাম। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও ফিরিয়ে দেননি অপু বিশ্বাস। তাই বাধ্য হয়ে লালবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সিমি।

বিষয়টি জানতে পেরে সমাধান করার আশ্বাস মধ্যস্থতাকারী হিসেবে এগিয়ে আসেন হিরো আলম। এরপর চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয় বাদীর কাছে। বলা হয়, অপু বিশ্বাসের পক্ষ থেকে এই টাকা চাওয়া হয়েছে। দর-কষাকষির পর চ্যানেলটি ফিরে পাওয়ার আশায় হিরো আলমকে ৫ লাখ টাকা দেন বাদী সিমি ইসলাম।

আরও পড়ুন:

টাকা পেয়ে চ্যানেলটি ফিরিয়ে দেন তারা। কিন্তু বাদী দেখতে পান, ইউটিউব চ্যানেলে থাকা তার ভিডিওগুলো নেই। বিষয়টি অপু বিশ্বাস ও হিরো আলমকে জানান সিমি। কিন্তু তারা ভিডিওগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার নাম করে কালক্ষেপণ করেন। বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতিতেও কথা বলা হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনো সমাধান না পাওয়ায় বাধ্য হয়েই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন সিমি।

এমআই/এমএমএফ/এমএস

Read Entire Article