কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশের ন্যায় থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সীতাকুন্ড উপজেলায়। এই দুই উপজেলায় সহিংসতার ঘটনা না ঘটলেও কঠোর অবস্থানে ছিল প্রশাসন। কারফিউয়ের কারণে নীরব ছিল ব্যস্ততম মহাসড়ক। তবে ফের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে শুরু করেছে সাধারণ মানুষ। ব্যাংক, অফিস, দোকানপাট খুলছে।
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরের দিকে উপজেলা সদর, মিঠাছরা ও আবুতোরাব এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ সড়কে বের হয়েছেন।
মিরসরাই কলেজ রোডের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী শহীদ উল্লাহ বলেন, আন্দোলন ও কারফিউর কারণে কয়েকদিন দোকান বন্ধ ছিল। পরে দোকান খোলার পরও সন্ধ্যায় বন্ধ করে দিতে হয়েছে। পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বাভাবিক।
বড়তাকিয়া বাজারের ব্যবসায়ী রেজাউল করিম বলেন, সন্ধ্যার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। আমরা নির্ভয়ে ব্যবসা করতে চাই।
ওয়াহেদপুর এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন ও রবিউল হোসেন বলেন, এই কয়েকটা দিন খুব খারাপভাবে পার করেছি। আমরা সাধারণ মানুষ এসব সহিংসতা, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি চাই না। বসবাসের জন্য নিরাপদ পরিবেশ চাই।
ফকির আহম্মদ নামে এক রিকশাচালক বলেন, কারফিউতে তেমন যাত্রী ছিল না। রিকশা চালিয়ে ঠিকমতো জমার টাকাও তুলতে পারিনি। তবে গত কয়েকদিন ধরে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
এর আগে ১৯ জুলাই রাত থেকে মিরসরাই ও সীতাকুন্ড উপজেলায় কারফিউ জারি করা হয়।
আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত শিথিল থাকবে কারফিউ। এরপর রাত ৯টার পর থেকে আবার সোমবার সকাল ৬টার আগ পর্যন্ত কারফিউ থাকবে।
এম মাঈন উদ্দিন/জেডএইচ/জেআইএম