মির্জাপুরে বিভেদ ভুলে এক মাঠে ১১২ পশু কোরবানি

3 months ago 49

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা সদরের পোষ্টকামুরী গ্রামে বিভেদ ভুলে এক মাঠে ৯১ গরু ও ২১ খাসি কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এরপর স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে ১২৮ মণ ২০ কেজি গরু ও ১০০ কেজি খাসির মাংস সংগ্রহ করে গ্রামের ৫ হাজার ২৫৫ জন মানুষের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে।

এছাড়া আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা সহস্রাধিক দুস্থ মানুষের মধ্যে এক কেজি করে মাংস বিতরণ করা হয়েছে। দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে এভাবে কোরবানির ঈদ উদযাপন করে আসছে এ গ্রামের মানুষেরা।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, গত দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে আমরা পোষ্টকামুরী গ্রামবাসী সামাজিকভাবে এক মাঠে একত্রে কোরবানি করে আসছি। এ বছরও একইভাবে কোরবানি করেছি। কোরবানি করার জন্য গ্রামের লোকজনের আর্থিক সহায়তায় গ্রামের স্কুল ও মাদরাসার মাঠে দুটি প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়।

বিভিন্ন মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ শেষ করে সবাই যার যার পশু নিয়ে মাঠে আসেন। পশু কোরবানির এক তৃতীয়াংশ মাংস নিজ দায়িত্বে এবং স্বেচ্ছাসেবকের মাধ্যমে সামাজিক কাউন্টারে জমা করা হয়। গ্রামটিতে এবার ৯১ গরু ও ২১ খাসি কোরবানি করা হয়। তাছাড়া গ্রামের বিভিন্ন বয়সের তিন শতাধিক মানুষ স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করেন। তাদের মাধ্যমে মাংস সংগ্রহ করে ১১০০ পরিবারের ৫ হাজার ২৫৫ জনের মধ্যে ৭৫০ গ্রাম করে মাংস বিতরণ করা হয়।

পোষ্টকামুরী গ্রামের বাসিন্দা মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তাহরীম হোসেন সীমান্ত, আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক দুই মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুর রহমান ও আ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেন মনি, পৌর মেয়র সালমা আক্তার, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু আহমেদ, পোষ্টকামুরী ক্লাবের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মোতালেব হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আল মামুন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি হযরত আলী মিঞা, সাধারণ সম্পাদক এস এম মহসীন, সাবেক দুই পৌর কাউন্সিলর এস এম রাশেদ, আমিরুল কাদের লাবনসহ গ্রামের বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ও গ্রামবাসী মিলে কোরবানির এ বৃহৎ আয়োজন সম্পন্ন করেন।

২০০০ সালে মির্জাপুর পৌরসভা গঠিত হয়। একটি উপনির্বাচনসহ পাঁচটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামটি থেকে প্রতিবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান মেয়র উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সালমা আক্তার। বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের মানুষ গ্রামটিতে বসবাস করলেও প্রতিবছর একমত হয়ে পশু কোরবানির আয়োজন করে থাকেন।

এস এম এরশাদ/এমএএইচ/জেআইএম

Read Entire Article