মিলছে না জমি, ফের বাড়ছে মডেল মসজিদ নির্মাণের মেয়াদ

3 months ago 62

সাত বছরেও শতভাগ বাস্তবায়ন হয়নি সারাদেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প। চলতি বছরের জুনে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সে হিসাবে সময় আছে আর মাত্র এক মাস। অথচ এপ্রিল ২০২৪ নাগাদ প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৬৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৭২ শতাংশ। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন করে সমস্যা দেখা দিয়েছে ৫১ মসজিদের ভূমি অধিগ্রহণ নিয়ে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, প্রকল্পের আওতায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে এখন পর্যন্ত ৫১৩টি মসজিদের জমির সংস্থান হয়েছে। যার মধ্যে ছয় দফায় ৩০০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এখনো ৫১টি মডেল মসজিদ নির্মাণের জমি পাওয়া যায়নি।

এই ৫১টি মসজিদ নির্মাণের জন্য এখনো ভূমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ করতে আরও দুই বছর বাড়তি সময় চায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এরই মধ্যে প্রকল্পটির নানা খাতের ব্যয় নিয়ে দেখা দিয়েছে অডিট আপত্তি, যা টাকার অঙ্কে প্রায় ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮১৫ টাকা। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এর পূর্ত কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

প্রকল্পটির নানা খাতের ব্যয় নিয়েও দেখা দিয়েছে অডিট আপত্তি, যা টাকার অঙ্কে প্রায় ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮১৫ টাকা। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এর পূর্ত কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, “প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন (২য় সংশোধিত)” শীর্ষক প্রকল্পটি সরকারি অর্থায়নে মোট ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে এপ্রিল ২০১৭ থেকে জুন ২০২৪ মেয়াদে বাস্তবায়নাধীন। অর্থাৎ, প্রকল্পটি জুন ২০২৪ এর মধ্যে শেষ করার সময় নির্ধারিত রয়েছে।

তবে ৫১ মসজিদের জন্য এখনো জমি অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর করতে না পারায় অবশিষ্ট নির্মাণকাজ শেষ করতে কমপক্ষে আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন হবে। ৫১ মসজিদের জন্য জমি না পাওয়াই এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা বা ঝুঁকি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মিলছে না জমি, ফের বাড়ছে মডেল মসজিদ নির্মাণের মেয়াদ

আরও পড়ুন

প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। জুন ২০২৪ পর্যন্ত অর্থাৎ প্রকল্পের বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত ৬ হাজার ৭৪০ কোটি ৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া যাবে। অবশিষ্ট দুই হাজার ৬৯৫ কোটি টাকা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপিতে বরাদ্দ মিলবে। এজন্য ৩০ জুন ২০২৪ সময়ের মধ্যে প্রকল্পের সব কাজ শতভাগ শেষ করা সম্ভব হবে না। ফলে ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে প্রকল্পের মেয়াদ আরও দুই বছর, অর্থাৎ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

মডেল মসজিদ নির্মাণে ৩১ লাখ টাকা ব্যয়ে অডিট আপত্তি
বিধি বা নিয়মবহির্ভূত খরচের জন্য প্রকল্প বাস্তবায়নকালীন ৯টি অডিট আপত্তি দেওয়া হয়ে। এতে মোট অর্থের পরিমাণ প্রায় ৩১ লাখ ৭১ হাজার ৮১৫ টাকা। অডিট আপত্তির মধ্যে উল্লেখযোগ্য বিধিবহির্ভূতভাবে সভার সম্মানী ব্যয় বাবদ ৬০ হাজার টাকা ব্যয় নির্ধারণ। এছাড়া ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) বহির্ভূতভাবে প্রকল্প দপ্তরের কক্ষ নির্মাণ ব্যয় বাবদ অনিয়মিতভাবে ৯ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৫ টাকা খরচ হয়েছে।

যদিও সংশ্লিষ্ট বিভাগ এ বিষয়ে ব্রডশিট জবাব দিয়েছে। সেখানে দেখানো হয়েছে, আয়কর কম কর্তন এবং কর্তন না করায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৮২৯ টাকা, বিভিন্ন সরবরাহ ও সেবা বিল থেকে ভ্যাট কর্তন না করায় বা কম কর্তন করায় আর্থিক ক্ষতি ১২ লাখ ৭০ হাজার ৬০৯ টাকা। এছাড়া প্রচার ও বিজ্ঞাপন বাবদ প্রাপ্ত টাকার ওপর সরকার নির্ধারিত হারে সার্ভিস চার্জ কর্তন না করায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬০৬ টাকা, ডিপিপি অনুসরণ না করে অনিয়মিতভাবে ব্যয় ২ লাখ ২৬ হাজার টাকা, নির্ধারিত হারে আদায় করা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়ায়-কম আদায় করায় বা আদায় না করায় সরকারের রাজস্ব ক্ষতি ১ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ টাকা।

মিলছে না জমি, ফের বাড়ছে মডেল মসজিদ নির্মাণের মেয়াদ

অন্যদিকে, অনিয়মিতভাবে আবাসিক টেলিফোন খাতে বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও অন্যান্য ভাতা খাত থেকে খাতবহির্ভূত ব্যয় ৮৮ লাখ ৩২০ হাজার টাকা। সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘনপূর্বক সিলিং সীমা অতিক্রম করে গাড়ির গ্যাস ও জ্বালানি ব্যয় করায় আর্থিক ক্ষতি ৭১ হাজার ৭৮৮ টাকা।

প্রকল্প বিষয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার জাগো নিউজকে বলেন, কিছু জমি মিলছে না। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি। আমরা ডিসি অফিসের সঙ্গে কথা বলছি। আশা করি, সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে। জমিসহ আরও কিছু জটিলতার কারণে প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন করতে আরও দুই বছরের মতো সময় লাগবে।

অডিট আপত্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষেরই কথা আছে। কাজ করতে গেলে কিছু আপত্তি থাকে, সেগুলোর জবাবও দেওয়া হয়।

প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবটি এরই মধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) পাঠিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়টি মূলত আইএমইডির মতামতের ওপর নির্ভর করে। এ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ছয়টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে আইএমইডি। শর্তগুলো মানলে তবেই প্রকল্পের মেয়াদ বাড়াবে আইএমইডি।

৫১ মসজিদের জন্য এখনো জমি অধিগ্রহণ করতে না পারায় অবশিষ্ট নির্মাণকাজ শেষ করতে আরও দুই বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ৫১ মসজিদের জন্য জমি না পাওয়াই এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যা বা ঝুঁকি

আইএমইডি জানায়, ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বাড়ানোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ। সে আলোকে সুপারিশ ও মতামতসহ পরিদর্শন প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।

আইএমইডির শর্তে বলা হয়েছে, ভোলা জেলা সদর (নতুন বাজার) মডেল মসজিদ নির্মাণের পর ভরাট করা পুকুরের অবশিষ্ট অংশ যেন মুসল্লিরা ব্যবহার করতে পারেন সেজন্য একটি দৃষ্টিনন্দন ঘাট নির্মাণের যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা মডেল মসজিদের জায়গার দখল পুরোপুরি উচ্ছেদ করে মসজিদ নির্মাণের উপযোগী করার জন্য জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করা যেতে পারে। প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ডিপিপি অনুযায়ী নির্ধারিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির রিভিউ সভা নিয়মিত করতে হবে।

এছাড়া গুণগত মান অক্ষুণ্ন রেখে প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ করা অর্থ ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কার্যক্রম সুসম্পন্ন করতে সময়ভিত্তিক বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নপূর্বক বাস্তবায়ন জোরদার করতে হবে- এ শর্তগুলোও জুড়ে দিয়েছে আইএমইডি।

মিলছে না জমি, ফের বাড়ছে মডেল মসজিদ নির্মাণের মেয়াদ

প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি প্রসঙ্গে আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, ব্যয় ব্যতিরেকে মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব আমাদের কাছে এসেছে। এটির ভিত্তিতে আমরা কিছু সুপারিশ ও মতামত দিয়েছি। এগুলো সংশ্লিষ্ট বিভাগ ঠিক করলেই আমরা পরবর্তী কার্যক্রমে যাবো।

আরও পড়ুন

তার ভাষ্য- মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পে জমি সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে জটিলতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। জমি না পেলে প্রকল্পও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। বিভিন্ন কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন ঢিলে হয়। সময় না বাড়ালে প্রকল্পের কাজও সম্পন্ন হবে না। এ কারণে মেয়াদ বাড়াতে হয়।

সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদন সংযুক্ত নেই
আলোচ্য প্রকল্পটি সম্পূর্ণ জিওবি অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন। ২০১৭ সালে ১২ জুলাই প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়। কমিটির মাধ্যমে প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হয়নি। ডিপিপির সঙ্গে কোনো বেইজ লাইন সার্ভে রিপোর্ট এবং ফিজিবিলিটি স্টাডি বা সম্ভাব্যতা যাচাই রিপোর্ট সংযুক্ত নেই। কোনো বেইজ লাইন সার্ভে এবং ফিজিবিলিটি স্টাডিও করা হয়নি।

এছাড়া প্রকল্পের লগ ফ্রেমের ইন্ডিকেটরগুলো সব ক্ষেত্রে যথাযথ হয়নি। কর্মপরিকল্পনা ও ক্রয় পরিকল্পনা ডিপিপিতে যথাযথভাবে তৈরি করা হয়নি। কর্মপরিকল্পনা যথাযথভাবে টাইম বাউন্ড করা হয়নি। ক্রয় অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। একই প্যাকেজে একাধিক ক্রয় পদ্ধতি উল্লেখ করা হয়েছে। বর্ধিত সময়ে যথাযথ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা প্রয়োজন।

সৌর বিদ্যুৎ সিস্টেমে কিলোওয়াট বৃদ্ধিকরণ
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নেট মিটারিং সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। পরিপত্র অনুযায়ী, নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসার এবং ভবিষ্যৎ জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের ছাদে নেট মিটারিং গাইডলাইন অনুসরণে নেট মিটারিং সিস্টেম স্থাপনের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ছাদে নির্মাণ খাতের আওতায় ৩ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ সিস্টেম করা হচ্ছে। তিন ফেজ বিদ্যুৎ সংযুক্তির ক্ষেত্রে নেট মিটারিং সিস্টেমে সৌর বিদ্যুতের সুবিধা পেতে ন্যূনতম ৪ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন করতে হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী, নির্মাণকাজের অর্থনৈতিক কোডের আওতায় অনুমোদিত বরাদ্দের মধ্যে প্রতিটি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ছাদে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ কিলোওয়াট সৌরবিদ্যুৎ সিস্টেম স্থাপন করে নেট মিটারিংয়ের আওতায় আনা যায় কি না সেই পরিকল্পনা করতে হবে।

২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এ প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ২৫ এপ্রিল একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়, যা বাস্তবায়ন করছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

ব্যয় বাড়ানো ব্যতিরেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় বাড়ানোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ। সে আলোকে সুপারিশ ও মতামতসহ পরিদর্শন প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।-আইএমইডি

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শুরুতে প্রকল্পটি সৌদি সরকারের সহায়তায় বাস্তবায়িত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর পার হলেও বৈদেশিক সাহায্য মেলেনি। ২০১৮ সালের ২৬ জুন প্রকল্পে প্রথম সংশোধনী আসে। যেখানে সংশোধনের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়- প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত হবে। নিজস্ব অর্থায়নে এটি সরকারের অন্যতম বৃহৎ একটি প্রকল্প।

মিলছে না জমি, ফের বাড়ছে মডেল মসজিদ নির্মাণের মেয়াদ

প্রথম সংশোধনীতে বলা হয়, ‘এ’ টাইপ মসজিদের ক্ষেত্রে পাঁচতলা ভিতের বদলে চারতলা ভিতবিশিষ্ট চারতলা মসজিদ, ‘বি’ টাইপ মসজিদের ক্ষেত্রে চারতলার বদলে তিনতলা ভিতবিশিষ্ট তিনতলা মসজিদ এবং ‘সি’ টাইপ মসজিদের ক্ষেত্রে পাঁচতলার বদলে চারতলা ভিতবিশিষ্ট চারতলা মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। তখন প্রকল্পটি এপ্রিল ২০১৭ থেকে জুন ২০২২ মেয়াদে এবং ৮ হাজার ৭২২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম সংশোধন করা হয়।

আরও পড়ুন

কিন্তু নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ করতে না পারায় ২০২১ সালের ৭ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় উভয়ই বাড়ানো হয়। যেখানে জুন ২০২৪ মেয়াদে এবং ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে একনেক সভার মাধ্যমে প্রকল্পে দ্বিতীয় সংশোধনী আনা হয়। এবার নতুন করে ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

দেশের আট বিভাগের ৬৪ জেলার ৪৯৫টি উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রকল্পটি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হলেও পূর্ত কাজ করছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

প্রকল্পের দুর্বল দিক হিসেবে আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুরুতে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা বা ফিজিবিলিটি যাচাই করা হয়নি। ভূমি অধিগ্রহণে সমস্যা ছিল। স্থান নির্বাচন কিছু ক্ষেত্রে সঠিক হয়নি। নির্মাণকাজে ধীরগতি একটি বড় সমস্যা। মসজিদের সব সুযোগ-সুবিধার সম্পূর্ণ ব্যবহার হচ্ছে না। অনেক মসজিদের সংযোগ সড়ক নেই। পর্যাপ্ত জনবল ও মনিটরিংয়ের অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া সামনের সিঁড়ি অনেক উঁচু হওয়ায় বয়স্ক মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ ঝুঁকিপূর্ণ হবে।

এমওএস/এমকেআর/এএসএম

Read Entire Article