মিশরে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি বিচারক

মিশরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হেফজুল কুরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়, যা চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বিশ্বমানের এই বার্ষিক প্রতিযোগিতাকে সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ বিচারক মণ্ডলি, যেখানে স্থান পেয়েছেন বিশ্বের খ্যাতনামা হাফেজ, কারি ও ইসলামি বিদ্বানরা। বাংলাদেশ ও মিশরসহ মোট ৯ দেশের বিচারকরা এ প্রতিযোগিতায় দায়িত্ব পালন করছেন। মিশরের ধর্মমন্ত্রীর আমন্ত্রণ এবং বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টার মনোনয়নে বিচারকার্য পরিচালনা করছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য আলেম, কারি ও গবেষক হাফেজ মাওলানা ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান। বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিররা এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন। প্রতিযোগীদের তেলাওয়াতের মান, সুর, শুদ্ধ উচ্চারণ এবং কিরাতের বিধিবিধান অনুসরণের সক্ষমতা মূল্যায়নে বিচারক মণ্ডলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে জানান বাংলাদেশের বিচারক ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ প্রতিযোগিতার মানকে আরও আ

মিশরে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি বিচারক

মিশরের নতুন প্রশাসনিক রাজধানী নিউ কায়রোর গ্র্যান্ড মসজিদ মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ৩২তম আন্তর্জাতিক হেফজুল কুরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতা। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়, যা চলবে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

বিশ্বমানের এই বার্ষিক প্রতিযোগিতাকে সফল ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার জন্য গঠিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ বিচারক মণ্ডলি, যেখানে স্থান পেয়েছেন বিশ্বের খ্যাতনামা হাফেজ, কারি ও ইসলামি বিদ্বানরা।

বাংলাদেশ ও মিশরসহ মোট ৯ দেশের বিচারকরা এ প্রতিযোগিতায় দায়িত্ব পালন করছেন। মিশরের ধর্মমন্ত্রীর আমন্ত্রণ এবং বাংলাদেশের ধর্ম উপদেষ্টার মনোনয়নে বিচারকার্য পরিচালনা করছেন বাংলাদেশের স্বনামধন্য আলেম, কারি ও গবেষক হাফেজ মাওলানা ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান।

মিশরে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি বিচারক

বিশ্বের ৭০টি দেশের নির্বাচিত হাফেজ, কারি ও মুফাসসিররা এবারের প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।

প্রতিযোগীদের তেলাওয়াতের মান, সুর, শুদ্ধ উচ্চারণ এবং কিরাতের বিধিবিধান অনুসরণের সক্ষমতা মূল্যায়নে বিচারক মণ্ডলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন বলে জানান বাংলাদেশের বিচারক ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণ প্রতিযোগিতার মানকে আরও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নত করেছে। এটি বিশ্ব মুসলিম সমাজে কুরআন শিক্ষার প্রসারে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি প্রতিযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সুনাম অর্জন করে আসছেন।

মিশরে আন্তর্জাতিক কুরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশি বিচারক

৩২তম আন্তর্জাতিক হেফজুল কুরআন ও তাফসির প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে মিশর ছাড়াও দায়িত্ব পালন করছেন-

১. ড. তৌফিক ইব্রাহিম আহমদ দ্বমরা (জর্ডান)
২. ড. হুসেইন ইদ্রিস মুসা (চাদ)
৩. ড. ওয়ালীয়ুর রহমান খান (বাংলাদেশ)
৪. প্রফেসর ড. জিয়াদ আহমদ আব্দুল কাদির আল-হাজ্জ্ব (লেবানন)
৫. শেখ ইসলাম কোঝিয়েভনিকোভ (রাশিয়া ফেডারেশন)
৬. ড. মোহাম্মদ আহমদ বুয়ালফাল (মৌরিতানিয়া)
৭. প্রফেসর ড. তাকিুদ্দীন আব্দুল বাসিত (ফিলিস্তিন)
৮. শেখ মামাদু জাহ (সেনেগাল)

৬ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলমান এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিশরের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী খালেদ আব্দেল গাফফার, ওয়াকফ মন্ত্রী ওসামা আল-আজহারি, যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী আশরাফ সাবহি, শ্রমমন্ত্রী মোহাম্মদ গেবরান, কায়রো গভর্নর ইব্রাহিম সাবের, আল-আজহারের ডেপুটি মুহাম্মদ আল-দুওয়াইনি, গ্র্যান্ড মুফতি নাজির মুহাম্মদ আইয়াদসহ দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

আগামী বৃহস্পতিবার প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করা হবে ও আসন্ন পবিত্র রমজানের লাইলাতুল কদর রজনীতে রাষ্ট্রপতি আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারস্বরূপ সম্মাননা, সনদ ও নগদ অর্থ তুলে দেবেন।

এমআরএম/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow