মিশরে গভীর শ্রদ্ধা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ১৫০০তম জন্মদিন, ঈদে মিলাদুন্নবী। বিশেষ এই দিনটিতে দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও প্রথমবারের মতো একটি সুফি সংগঠনের ব্যানারে বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন।
দিনটি উপলক্ষে মিশরের ইসলামী কায়রোর ঐতিহাসিক সাইয়্যিদ হোসাইন (রা.) মসজিদ এবং আল-আজহার মসজিদে নানা আনুষ্ঠানিকতার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ড. সালামা জুমা দাউদ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মিশরের দারুল ইফতার প্রধান মুফতি ড. নজীর আয়াদ, কায়রো সিটির গভর্নর ড. ইব্রাহিম সাবের সহ আরও অনেক বিশিষ্টজন ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
এবারের আয়োজনে মিশরে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুফি সংগঠন ‘আহলুস সুন্নত ওয়াল জামায়াত বাংলাদেশ’ বিশেষ ভূমিকা পালন করে। তারা নিজেদের ব্যানারে প্রথমবার জশনে জুলুসে অংশ নেয়। ‘যিকরে মাওলুদুন্নবী (সা.)’ শীর্ষক এই র্যালিটি সলেহ জা’ফারি (রহ.) প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে সাইয়্যিদুনা ইমাম হোসাইন (রা.) মসজিদে গিয়ে শেষ হয়। জুলুস শেষে আহলুস সুন্নত ওয়াল জামায়াত মিশর-বাংলাদেশ শাখার সহ-সভাপতি আম্মার হোসাইন মিমন আল-আজহারী মোনাজাত পরিচালনা করেন, যার মাধ্যমে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা নবী করিম (সা.)-এর জন্মের তাৎপর্য তুলে ধরেন। সাবেক প্রধান মুফতি ড. আলী জুমা তার বক্তব্যে বলেন, প্রিয় নবীর (সা.)-এর জন্ম মানবতার জন্য রহমত, নূর এবং হিদায়াতের উৎস। তিনি কর্ম, দয়া, সৎকর্ম, সততা ও নিষ্ঠা—এই পাঁচটি আদর্শ সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘মুহাম্মাদী আখলাক প্রকল্প’ উদ্বোধনের ঘোষণা দেন।
কেএইচকে/এএসএম