মিশরে বাংলাদেশের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘ইত্তিহাদ’ আয়োজন করেছে বৈচিত্র্যময় ও উপভোগ্য অনুষ্ঠান ‘পিঠা উৎসব’।
বৃহস্পতিবার (২০ শে ফেব্রুয়ারি) বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস স্টেডিয়ামে উৎসবে কায়রোস্থ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্য ও বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরাসহ প্রায় এক হাজার ভোজনরসিক।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন মিশর (ইত্তিহাদ) তাদের বার্ষিক কার্যক্রমের নতুন একটি অংশ হিসেবে আয়োজন করে এই পিঠা উৎসবের। এতে অংশ নেয় ১২টি খাবারের স্টল, প্রতিটি স্টলেই স্পষ্ট ছিল দেশীয় সংস্কৃতির স্পষ্ট প্রভাব। আগত ভোজন রসিকদের ইত্তিহাদের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও দেশীয় মিষ্টি।
- আরও পড়ুন
- মিশরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
- তিনি শুধু নোবেল বিজয়ী নন বরং অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের প্রতীক
ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা, পাটি সাপটা, দুধ পুলি, ডিমের পুডিং, ফুলি পিঠা, সিঙারা, চমুচা, পাকোড়াসহ ফুসকা চটপটি এবং শাহী হালীম, বিরিয়ানি নিয়ে বসা স্টল মালিক আয়োজক কমিটির সকল প্রচেষ্টায় পিঠা উৎসবের পূর্ণতা পেতে কোনো কমতি ছিল না।
উৎসবে উপস্থিত ছিল মিশরের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতা এবং ইত্তিহাদের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্যরা। উৎসবের মাঝে ইত্তিহাদের পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক আয়োজন এবং দেশাত্মবোধক গানে ছিল এক নতুন মাত্রার স্পন্দন।
বাঙালিদের মাঝে এমন বিরল আয়োজন মিশরে সকল শিক্ষার্থী ও বাঙালি কমিউনিটির মাঝে নতুন সেতুবন্ধনের মাত্রা যোগ করেছে বলেই জানান আয়োজকরা।
পিঠা উৎসবের শেষের দিকে ইত্তিহাদের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সংগঠনের সভাপতি এস এম ফখরুল ইসলাম। তিনি ভবিষ্যতেও ইত্তেহাদের যে কোনো কার্যক্রমে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে সবার প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
এমআরএম/এএসএম