মেয়েদের ১০০ মিটার স্প্রিন্টে হয়েছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সেই সাথে যোগ হয়েছিল নাটক ও অপেক্ষা। শিরিন দৌড় শেষ করে দাবি করেছেন, তিনিই আগে ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করেছেন। তখনো আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা হয়নি। তবে ফিসফাঁস শব্দ শোনা যাচ্ছিল, চ্যাম্পিয়ন সুমাইয়া।
দৌড় শেষ করে ট্র্যাকের এক পাশে চুপচাপ ছিলেন সুমাইয়া। আর শিরিন দৌড়ঝাঁপ করছিলেন অফিসিয়াল টাইমিং দেখার জন্য। এ সময় তিনি বলছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত প্রথম হয়েছি। আমিই চ্যাম্পিয়ন। একজন অ্যাথলেটের ফটোফিনিশিং দেখার অধিকার আছে। আমি দেখতে চাই। এ সময় বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলছিলেন, আগে ফলাফল ঘোষণা হবে। তারপর কারো আপত্তি থাকলে সেটা পরে দেখা হবে।’
প্রায় ঘণ্টাদুয়েক পর ফেডারেশন আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে জানিয়ে দেয়, সুমাইয়াই চ্যাম্পিয়ন।
দেশের অ্যাথলেটিকসে কিংবদন্তি শিরিন আক্তার। শেষ পর্যন্ত তিনি খেলোয়াড়সুলভ আচরণই দেখিয়েছেন। রাতে জাগো নিউজকে বলছিলেন, ‘আমি অ্যাথলেট। শেষ পর্যন্ত আমি অফিসিয়াল ফলাফলকে সম্মান করেছি। এখন আমার মনোযোগ ২০০ মিটারে।’
আরআই/এমএমআর/এএসএম