মুক্ত জলাশয়ে কচুরিপানায় প্রকৃতির হাসি
প্রকৃতির অপরূপ সাজে সেজেছে চট্টগ্রামের মিরসরাই। উপজেলার বিভিন্ন মুক্ত জলাশয়ে এখন ফুটেছে কচুরিপানার ফুল। সবুজ পাতা আর নীল আকাশের পটভূমিতে ফুলগুলো যেন প্রকৃতির হাতে আঁকা জীবন্ত ছবি। উপজেলার নিজামপুর, বড়তাকিয়া, হাদিফকিরহাট, মিঠাছড়া ও আবুরহাটের খাল-বিল ও পুকুরে দৃষ্টিনন্দন ফুল দেখা যাচ্ছে। ফুলগুলো জলাশয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে। জানা গেছে, গ্রাম-গঞ্জের পুকুর, খাল-বিল কিংবা হ্রদের জলে ভাসে অপার সৌন্দর্যের প্রতীক এই ফুল। এটি একধরনের জলজ ফুল, যা তার রং, গন্ধ ও কোমলতার জন্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এ ফুলের রং সাধারণত হালকা বেগুনি বা নীলচে-বেগুনি, মাঝে মাঝে পাপড়ির এক কোণে থাকে একফোঁটা হলুদ দাগ, যা ফুলের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ফুলগুলো গুচ্ছাকারে ফোটে, যেন নরম মেঘের মতো পানির বুকে ভেসে থাকে। গাছের পাতা গোল ও সবুজ, ডাঁটা ফাঁপা। তাই গাছটি সহজেই পানির ওপর ভেসে থাকে। সাধারণত বর্ষা থেকে শরৎকাল পর্যন্ত এ ফুল ফোটে। তখন জলাশয় ভরে ওঠে বেগুনি রঙের ফুলে। এ ফুল শুধু প্রকৃতিকে সাজায় না, মানুষের মনেও আনে প্রশান্তি ও সৌন্দর্যের অনুভূতি। তবে গাছটি অতিবৃদ্ধ হলে কখনো কখনো জলাশয়ের প্রবাহে বাধা দেয়। তবুও রূপের সামনে
প্রকৃতির অপরূপ সাজে সেজেছে চট্টগ্রামের মিরসরাই। উপজেলার বিভিন্ন মুক্ত জলাশয়ে এখন ফুটেছে কচুরিপানার ফুল। সবুজ পাতা আর নীল আকাশের পটভূমিতে ফুলগুলো যেন প্রকৃতির হাতে আঁকা জীবন্ত ছবি। উপজেলার নিজামপুর, বড়তাকিয়া, হাদিফকিরহাট, মিঠাছড়া ও আবুরহাটের খাল-বিল ও পুকুরে দৃষ্টিনন্দন ফুল দেখা যাচ্ছে। ফুলগুলো জলাশয়ের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে।
জানা গেছে, গ্রাম-গঞ্জের পুকুর, খাল-বিল কিংবা হ্রদের জলে ভাসে অপার সৌন্দর্যের প্রতীক এই ফুল। এটি একধরনের জলজ ফুল, যা তার রং, গন্ধ ও কোমলতার জন্য সবাইকে মুগ্ধ করে। এ ফুলের রং সাধারণত হালকা বেগুনি বা নীলচে-বেগুনি, মাঝে মাঝে পাপড়ির এক কোণে থাকে একফোঁটা হলুদ দাগ, যা ফুলের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ফুলগুলো গুচ্ছাকারে ফোটে, যেন নরম মেঘের মতো পানির বুকে ভেসে থাকে। গাছের পাতা গোল ও সবুজ, ডাঁটা ফাঁপা। তাই গাছটি সহজেই পানির ওপর ভেসে থাকে।
সাধারণত বর্ষা থেকে শরৎকাল পর্যন্ত এ ফুল ফোটে। তখন জলাশয় ভরে ওঠে বেগুনি রঙের ফুলে। এ ফুল শুধু প্রকৃতিকে সাজায় না, মানুষের মনেও আনে প্রশান্তি ও সৌন্দর্যের অনুভূতি। তবে গাছটি অতিবৃদ্ধ হলে কখনো কখনো জলাশয়ের প্রবাহে বাধা দেয়। তবুও রূপের সামনে সেই ত্রুটি যেন হার মানে।
আরও পড়ুন
মালচা নাকি কেশরদাম, কী নামে চেনেন?
পানিফল চাষে কম খরচে বেশি লাভ
স্থানীয় কৃষক মহিউদ্দিন হোসেন বলেন, ‘আগে কচুরিপানা দেখলে বিরক্ত লাগতো। এখন ফুল ফুটলে মনে হয় প্রকৃতি হাসছে। সকালে কাজের সময় থেমে দেখি, চোখ জুড়িয়ে যায়।’
স্কুলছাত্রী নাফিসা নাওয়াল বলেন, ‘প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে এই ফুল দেখি। বন্ধুরা মিলে ছবি তুলি। মনে হয়, যেন কোনো ফুলের বাগানে হাঁটছি। ফুলগুলোর রং খুব দৃষ্টিনন্দন।’
প্রকৃতিপ্রেমী মেহেদী হাসান বলেন, ‘ফটোগ্রাফির জন্য দারুণ জায়গা হয়ে উঠেছে মিরসরাইয়ের জলাশয়গুলো। বিশেষ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে পরিত্যাক্ত ডোবাগুলোয় এ ফুলের সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করছে।’
মিরসরাই উপজেলা কৃষি অফিসার প্রতাপ চন্দ্র রায় বলেন, ‘কচুরিপানা জলাশয়ের পানির প্রবাহে কিছুটা বাধা সৃষ্টি করলেও এর ফুল আমাদের পরিবেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্যের অংশ। নিয়ন্ত্রিতভাবে এটি রক্ষা করা গেলে প্রকৃতির সৌন্দর্য যেমন বাড়বে; তেমনই জলজ প্রাণীর আশ্রয়ও সংরক্ষিত থাকবে।’
এসইউ/এএসএম
What's Your Reaction?