মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করলে জনগণ ক্ষমা করবে না : ইশরাক

ঢাকা ৬ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, যে রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত করবে দেশের জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ারীতে জিয়া শিশু-কিশোর মেলার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে এসে যে দল স্বাধীনতাকে অস্বীকার করতে চাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় দিবস পালন করে আসছি। জন্মের পর থেকেই ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস আমরা পালন করে আসছি। ইশরাক হোসেন বলেন, আজ যে বা যারাই হোক, কিংবা যে কোনো রাজনৈতিক দল যদি আমাদের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করতে চায়, আমাদের বিজয়কে অস্বীকার করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাহলে আমাদের ইতিহাসের পাতায় ফিরে তাকানো উচিত। তিনি বলেন, গত বছর স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছিল, ১৯৭১ এর গণহত্যা মুছে ফেলা যাবে না এটি চিরন্তন সত্য। অনেক কিছু যতই করা হোক, এই সত্য মুছে ফেলা যাবে না। ইশরাক হোসেন বলেন, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি বিভক্ত বাংল

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করলে জনগণ ক্ষমা করবে না : ইশরাক

ঢাকা ৬ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, যে রাজনৈতিক দল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে বিকৃত করবে দেশের জনগণ তাদের ক্ষমা করবে না।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর ওয়ারীতে জিয়া শিশু-কিশোর মেলার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরে এসে যে দল স্বাধীনতাকে অস্বীকার করতে চাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় দিবস পালন করে আসছি। জন্মের পর থেকেই ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস আমরা পালন করে আসছি।

ইশরাক হোসেন বলেন, আজ যে বা যারাই হোক, কিংবা যে কোনো রাজনৈতিক দল যদি আমাদের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করতে চায়, আমাদের বিজয়কে অস্বীকার করতে চায় এবং মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাহলে আমাদের ইতিহাসের পাতায় ফিরে তাকানো উচিত।

তিনি বলেন, গত বছর স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ যে গণহত্যা চালিয়েছিল, ১৯৭১ এর গণহত্যা মুছে ফেলা যাবে না এটি চিরন্তন সত্য। অনেক কিছু যতই করা হোক, এই সত্য মুছে ফেলা যাবে না।

ইশরাক হোসেন বলেন, আমাদের নেতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান একটি বিভক্ত বাংলাদেশ থেকে একটি ঐক্যবদ্ধ ও বিভাজনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। সে কারণেই যখন সব রাজনৈতিক দলকে পুনরায় গণতান্ত্রিক উপায়ে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়, তখন তার উদারতায় অনেক রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ফেরত পায়।

তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হলে তা ভুল হবে। মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগ তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল নিজেদের অপকর্মকে জায়েজ করার জন্য। কিন্তু তাই বলে কি বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি? ১৯৭১ সালে কি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দ্বারা বাংলাদেশে গণহত্যা হয়নি? আল-বদর, আল শামস ও রাজাকার বাহিনীগুলো কি ছিল না? তখনকার পত্রপত্রিকায় কি তাদের বিভিন্ন সময়ের বক্তব্য ও নেতাদের ভূমিকার প্রমাণ আজও পাওয়া যায় না? আমরা তো বোকার স্বর্গে বাস করি না। বাংলাদেশের মানুষ খুব ভালো করেই জানে, সে সময় তাদের ভূমিকা কী ছিল।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কে এস হোসেন টমাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়ারি থানা বিএনপি আহ্বায়ক লিয়াকত আলী, কাজী আবুল বাসার, জাহাঙ্গীর শিকদার, ওয়ারী থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রহিম ভূঁইয়া, জাসাস নেতা শিবা শানু, ৩৮নং ওয়ার্ড সভাপতি মনা, সাধারণ সম্পাদক শহীদ। এছাড়া স্থানীয় এলাকাবাসীও এতে অংশগ্রহণ করেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow