মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণে ‘রক্তের দলিল’

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার দিনব্যাপী ‘রক্তের দলিল’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান চলছে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের উদ্যোগে এ আয়োজন। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকা ও ঐতিহাসিক আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশিদের ওপর চালানো গণহত্যার প্রকাশিত সংবাদের বিভিন্ন পত্রিকা কাটিং প্রদর্শন করা হচ্ছে। এছাড়া নির্মমভাবে গণহত্যার শিকার বাংলাদেশিদের পড়ে থাকা মৃতদেহের ছবিও রয়েছে প্রদর্শনীতে। রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের পর বিজয় উদযাপনের দৃশ্য। আরও পড়ুন:গোলাম আযম, কাদের মোল্লার ছবি মুছে দিলো হল প্রশাসনঢাবিতে রাজাকার ‘ঘৃণাস্তম্ভে’ জুতা নিক্ষেপ এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেখানে ‘মুক্তির গান’ শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। আয়োজন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের বয়ানকে একদলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণে ‘রক্তের দলিল’

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার দিনব্যাপী ‘রক্তের দলিল’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান চলছে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের উদ্যোগে এ আয়োজন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সরেজমিনে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকা ও ঐতিহাসিক আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হচ্ছে।

১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশিদের ওপর চালানো গণহত্যার প্রকাশিত সংবাদের বিভিন্ন পত্রিকা কাটিং প্রদর্শন করা হচ্ছে। এছাড়া নির্মমভাবে গণহত্যার শিকার বাংলাদেশিদের পড়ে থাকা মৃতদেহের ছবিও রয়েছে প্রদর্শনীতে। রয়েছে ১৬ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভের পর বিজয় উদযাপনের দৃশ্য।

আরও পড়ুন:
গোলাম আযম, কাদের মোল্লার ছবি মুছে দিলো হল প্রশাসন
ঢাবিতে রাজাকার ‘ঘৃণাস্তম্ভে’ জুতা নিক্ষেপ

এছাড়া সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সেখানে ‘মুক্তির গান’ শিরোনামে একটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণে ‘রক্তের দলিল’

আয়োজন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মেঘমল্লার বসু বলেন, দীর্ঘ সময় ধরে আওয়ামী লীগের শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের বয়ানকে একদলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের গণযুদ্ধের চরিত্র ধীরে ধীরে আড়াল হয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগকে একই কাতারে দাঁড় করানোর একটি প্রবণতা তৈরি করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধকে অবমাননা করা এবং এর ব্যাপ্তি ও তাৎপর্যকে খাটো করার উদ্দেশ্যে অনলাইন ও অফলাইন নানা বুদ্ধিবৃত্তিক পরিসরে সক্রিয় রয়েছে। তারা কখনো মুক্তিযুদ্ধের শহীদের সংখ্যা হাজারে নামিয়ে আনছে, আবার কখনো দাবি করছে বিহারীরাই ছিল গণহত্যার প্রধান শিকার।

মেঘমল্লার বসু বলেন, এসব অপচেষ্টার বিরুদ্ধে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতেই তাদের এই আয়োজন। পুঙ্খানুপুঙ্খ গবেষণার ভিত্তিতে গণযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহ এবং গণহত্যার বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে রাজাকারদের গণহত্যার পক্ষে যে সম্মতি উৎপাদনের প্রক্রিয়া ছিল, সেটিও প্রদর্শনীর মাধ্যমে সামনে আনা হয়েছে।

এফএআর/এসএনআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow