কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু ও সদস্য সচিব আবু ইউসুফ সেলিম।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান নেতারা।
যৌথ এক বিবৃতিতে তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা স্বাধীন। রাজনৈতিক মতপার্থক্য বা ভিন্নমতের কারণে যেসব দুষ্কৃতকারী একজন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিত করেছে, তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান নেতারা।
এর আগে রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চৌদ্দগ্রামের নিজ এলাকা কুলিয়ারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বীরপ্রতীক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাতেই ভাইরাল হয়। এরপরই এর ঘটনায় বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও প্রতিবাদ উঠতে থাকে।
হেনস্তার শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের লুদিয়ারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। হেনস্তাকারীরা সবাই একই এলাকার বাসিন্দা।