মুরগির ঘর থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার, দুদিনেও গ্রেপ্তার নেই

খুলনায় মুরগির ঘরের ভেতর থেকে নানিসহ দুই নাতি-নাতনির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। রোববার (১৬ নভেম্বর) আটটার দিকে নগরীর লবণচরা এলাকার  মুক্তা কমিশনার কালভার্টের দরবেশ গলি এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানওয়ার হুসাইন মাসুম কালবেলাকে বলেন, নানিসহ দুই নাতি-নাতনির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। নিহত ব্যক্তিদের দুপুরে টুটপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। রাতে পরিবারের সদস্যরা মামলা করবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা। নিহতরা হলেন– আব্দুল হান্নানের স্ত্রী মহিদুন্নেসা (৫৫), নাতি মুস্তাকিম (৮) ও ফাতিহা (৬)। তিনজনের লাশ তাদের বসত ঘরের পাশে মুরগির খামারের মধ্যে পাওয়া যায়। জানা গেছে, রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যবর্তী কোনো সময়ে অজ্ঞাত কেউ একই পরিবারের ওই তিন সদস্যকে হত্যা করে থাকতে পারে। পরিবার ও প্রতিবেশীরা দীর্ঘক্ষণ ধরে তাদের খোঁজ না পেয়ে সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ির মধ্যে থাকা মুরগির খোপের পাশে মরদেহ তিনটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। শিশু দুটির বাবা-মা চাকরি করেন

মুরগির ঘর থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার, দুদিনেও গ্রেপ্তার নেই

খুলনায় মুরগির ঘরের ভেতর থেকে নানিসহ দুই নাতি-নাতনির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। রোববার (১৬ নভেম্বর) আটটার দিকে নগরীর লবণচরা এলাকার  মুক্তা কমিশনার কালভার্টের দরবেশ গলি এলাকা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

লবণচরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সানওয়ার হুসাইন মাসুম কালবেলাকে বলেন, নানিসহ দুই নাতি-নাতনির মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। নিহত ব্যক্তিদের দুপুরে টুটপাড়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। রাতে পরিবারের সদস্যরা মামলা করবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা।

নিহতরা হলেন– আব্দুল হান্নানের স্ত্রী মহিদুন্নেসা (৫৫), নাতি মুস্তাকিম (৮) ও ফাতিহা (৬)। তিনজনের লাশ তাদের বসত ঘরের পাশে মুরগির খামারের মধ্যে পাওয়া যায়।

জানা গেছে, রোববার দুপুর থেকে সন্ধ্যার মধ্যবর্তী কোনো সময়ে অজ্ঞাত কেউ একই পরিবারের ওই তিন সদস্যকে হত্যা করে থাকতে পারে। পরিবার ও প্রতিবেশীরা দীর্ঘক্ষণ ধরে তাদের খোঁজ না পেয়ে সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ির মধ্যে থাকা মুরগির খোপের পাশে মরদেহ তিনটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। শিশু দুটির বাবা-মা চাকরি করেন। সকালে তারা বাচ্চা দুটিকে নানির কাছে রেখে কাজের উদ্দেশ্যে বের হয়ে যান।

সন্ধ্যায় তারা দুজন বাড়িতে ফিরে এসে দরজায় নক করলে তাদের সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় ঘরের দরজা ভেঙে নানির মরদেহ ঘরের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। এরপর তারা ঘরের পাশে মুরগির ঘর থেকে শিশু দুটির মরদেহ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

ওসি জানান, তাদের তিনজনের শরীরেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর মরদেহগুলো শক্ত হয়ে রয়েছে। তবে কে বা কারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তা এখনো জানা যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে বলা সম্ভব হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow