মুশফিক দেখালো, কীভাবে লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকতে হয়
তার সাথে মুশফিকুর রহিমের স্মৃতিটা আর সবার মতো নয়। ২০০৫ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে মুশফিকের যখন টেস্ট অভিষেক হয়, তখন হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ আশরাফুল, জাভেদ ওমর, আফতাব আহমেদ ও অন্যদের সাথে ছিলেন তিনিও। অনেকের হয়তো জানা নেই টেস্ট অভিষেকে কিন্তু কিপিং করেননি মুশফিক। ক্যারিয়ারের ৭০-৭৫ শতাংশ সময় টেস্টে কিপিং করলেও টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে যাত্রা শুরুর ম্যাচে মুশফিকুর রহিম ছিলেন শুধুই ব্যাটার। শততম টেস্ট খেলার দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা মুশফিকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আজ সোমবার সন্ধ্যায় সে তথ্য জানিয়ে খালেদ মাসুদ পাইলট জাগো নিউজকে বলেন, ‘মুশফিকুর রহিম খুব ছোটবেলায়ই জাতীয় দলে খেলতে এসেছিল। প্রথমে ঢাকায় ক্যাম্পে পেয়েছি তাকে। তারপর ইংল্যান্ডে গিয়ে একসঙ্গে নেট প্র্যাকটিস করেছি। প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমার প্রথম মুশফিকের সাথে খেলার সুযোগ হয় লর্ডসে। এখনো মনে আছে। সম্ভবত ২০০৫ সালের মাঝামাঝি (২০০৫ সালের মে মাসে) হবে। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সদ্য কৈশোর পার করা একদম শিশুসুলভ মুখায়বের মুশফিকের। একদমই ছোট্ট একটা ছেলে। চেহারাটা খুব কিউট ছিল। এখনো মন
তার সাথে মুশফিকুর রহিমের স্মৃতিটা আর সবার মতো নয়। ২০০৫ সালের মে মাসের শেষ সপ্তাহে ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে মুশফিকের যখন টেস্ট অভিষেক হয়, তখন হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ আশরাফুল, জাভেদ ওমর, আফতাব আহমেদ ও অন্যদের সাথে ছিলেন তিনিও। অনেকের হয়তো জানা নেই টেস্ট অভিষেকে কিন্তু কিপিং করেননি মুশফিক। ক্যারিয়ারের ৭০-৭৫ শতাংশ সময় টেস্টে কিপিং করলেও টেস্ট ক্রিকেটার হিসেবে যাত্রা শুরুর ম্যাচে মুশফিকুর রহিম ছিলেন শুধুই ব্যাটার।
শততম টেস্ট খেলার দোড়গোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা মুশফিকের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আজ সোমবার সন্ধ্যায় সে তথ্য জানিয়ে খালেদ মাসুদ পাইলট জাগো নিউজকে বলেন, ‘মুশফিকুর রহিম খুব ছোটবেলায়ই জাতীয় দলে খেলতে এসেছিল। প্রথমে ঢাকায় ক্যাম্পে পেয়েছি তাকে। তারপর ইংল্যান্ডে গিয়ে একসঙ্গে নেট প্র্যাকটিস করেছি। প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছি। আনুষ্ঠানিকভাবে আমার প্রথম মুশফিকের সাথে খেলার সুযোগ হয় লর্ডসে। এখনো মনে আছে। সম্ভবত ২০০৫ সালের মাঝামাঝি (২০০৫ সালের মে মাসে) হবে। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল সদ্য কৈশোর পার করা একদম শিশুসুলভ মুখায়বের মুশফিকের। একদমই ছোট্ট একটা ছেলে। চেহারাটা খুব কিউট ছিল। এখনো মনে আছে, মুশফিক খেলেছিল স্পেশালিস্ট ব্যাটার হিসেবে। আর আমি কিপিং করেছিলাম।’
‘তারপর সময় গড়ানোর সাথে সাথে সেই প্রথম টেস্টে ব্যাটার হিসেবে খেলা মুশফিকই কিপার হয়ে যায় এবং টেস্ট আর ওয়ানডে দলের এক নম্বর কিপার বনে যায়; কিন্তু নিজের প্রথম টেস্টে মুশফিক খেলেছিল শুধুই ব্যাটার হিসেবে। আমি ছিলাম উইকেটকিপার। সময়ের প্রবাহমানতায় সাথে সাথে আমি জাতীয় দল থেকে বেরিয়ে চলে আসলাম। তখন মুশফিক নিজেকে কিপার হিসেবেও ডেভেলপ করে। এক সময় কিপার কাম ব্যাটসম্যান হয়ে যায়।’
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দীর্ঘ একযুগের বেশি সময় বাংলাদেশ জাতীয় দলের উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করা পাইলট মনে করেন, ‘মুশফিক এরই মধ্যে একটা উদাহরণ তৈরি করেছে। কিভাবে লম্বা জার্নি করা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে টিকে থাকতে হলে কী কী কাজ করতে হবে, সেগুলো মুশফিক দেখিয়ে দিয়েছেন।’
পাইলটের ভাষায় মুশফিক একটা এক্সামপল সেট করেছে। মুশফিক দেখিয়ে দিয়েছে কী করে দীর্ঘদিন জাতীয় দলে থাকা যায়। কী কী করলে দীর্ঘ সময় নিজেকে ধরে রাখা যায়। লম্বা সময় জাতীয় দলে টিকে থাকতে হলে করণীয় কী কী? সেগুলোও মুশফিক খুব ভালোভাবে দেখিয়ে দিয়েছে। আমার মনে হয় মুশফিকের ক্যারিয়ার দেখে নতুন ও আগামী প্রজন্ম জানবে, দেখবে ও বুঝবে কি করলে এত দীর্ঘ সময় জাতীয় দলের অপরিহার্য সদস্য হয়ে থাকা যায়।
একটা খেলোয়াড়, পারফরমারকে লম্বা সময় পারফর্ম করতে হলে বা বেশি সময় ধরে টিকে থাকতে হলে অনেক পরিশ্রম করতে হয়। ফিটনেস সচেতন হতে হয়। ফিটনেস ধরে রাখা জরুরি এবং তা করতে অনেক কিছু ত্যাগ করতে হয়। শুধু মেধাবী আর খুব ভাল পারফরমার হলেই চলবে না। লম্বা সময় ক্যারিয়ার ধরে রাখতে হলে দরকার তার বাইরের আরও কিছু। মুশফিক তার নিখুঁত উদাহরণ। মুশফিক একটা মাইলফলক তৈরি করে গেল যে কিভাবে এত লম্বা আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়া যায়।
সবার জানা টেস্টে বাংলাদেশের টপ স্কোরার মুশফিক। পাশাপাশি একমাত্র ব্যাটসম্যন হিসেবে তার তিন তিনটি ডাবল সেঞ্চুরিও আছে। পাইলটের আশা মুশফিক যেন শততম টেস্টেও একটি ভাল ও বড় ইনিংস খেলতে পারে।
সে কিন্তু অনেক বড় বড় ইনিংস খেলেছে। সম্ভবত তার দু-তিনটি ডাবল হান্ড্রেড আছে টেস্টে। মহান আল্লাহ তা’আলার কাছে দোয়া করি যেন মুশফিকের শততম টেস্ট ম্যাচটিও ভাল কাটে। সে যেন ওই ১০০ নম্বর টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে পারে।
একটা হচ্ছে, সে আশা করি ১৯ নভেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মুশফিক খেলবেই; কিন্তু আমার চাওয়া হলো মুশফিক যেন সেই ম্যাচকে সাফল্যের সোনালি আভায় মুড়িয়ে রাখতে পারে। একটা ভালো ইনিংস খেলে সেই শততম টেস্টটাকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে পারে। ১০০ তম টেস্টাও যেন দর্শক ও ভক্তদের মাঝে স্মরণীয় করে রাখে।
এআরবি/আইএআইচএস
What's Your Reaction?